তামিম 'স্বাভাবিক' খেলার কথা বলেছিলেন সৌম্যকে

১৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ও সৌম্য। ফাইল ছবি
১৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ও সৌম্য। ফাইল ছবি
>তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের ১৪৪ রানের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বড় জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল।

বিশ্বকাপের আগে এখন নিজেকে অনেকটাই নির্ভার মনে করতে পারেন সৌম্য সরকার। কাল ডাবলিনের ক্লনটর্ফে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি যে ইনিংসটি খেললেন, তাতে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসই খুঁজে নিচ্ছেন তিনি। ৬৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে আফসোস বলতে সেঞ্চুরি না পাওয়া। তবে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে না পারলেও ইনিংসটি সৌম্যর ব্যাটিং সামর্থ্যকে নতুন করে সবার সামনে তুলে ধরেছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৬১ রানের সংগ্রহটা খুব মন্দ ছিল না। এই রান তাড়া করতে নেমে ঘটতে পারত অনেক কিছুই। কিন্তু তামিম ইকবালের সঙ্গে সৌম্যর ওপেনিং জুটি সব সংশয়, শঙ্কাকে ধুয়ে মুছে দেয়। এই দুইয়ের ১৪৪ রানের জুটিই যে ৮ উইকেটের দাপুটে জয়ের ভিত। দারুণ এই জুটিতে ছিল সৌম্য আর তামিমের পারস্পরিক বোঝাপড়ার চিত্র। ম্যাচ শেষে সেটিই বলেছেন সৌম্য, ‘পরিকল্পনা ছিল যে জুটি গড়তে হবে, তাহলে খেলা আমাদের হাতে আসবে। সেটিই হয়েছে।’

ক্লনটার্ফের উইকেটে রান করাটা খুব সহজ ছিল না বলেই জানিয়েছেন সৌম্য। তবে এই সময় তামিমের প্রেরণা তাঁকে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, ‘উইকেট খুব সহজ ছিল না ব্যাটিংয়ের জন্য। শট অতটা খেলা যাচ্ছিল না। পেছনের বলগুলো খেলা যাচ্ছিল, সামনের বলগুলি অতটা নয়। তামিম ভাই বলেছিলেন, তুই তোর স্বাভাবিক খেলাটা খেল। একটা সময় ম্যাচ আমাদের হাতে চলে আসবে।’

প্রথম দিকে তামিম রান করতে পারছিলেন না। বেশ ধীরে এগোচ্ছিলেন। তবে তামিমের এই ধীর গতি সৌম্যকে খুব একটা চাপে ফেলেনি বলেই জানা গেল, ‘এমন কিছু হয়নি যে তামিম ভাই রান করছিল না বলে আমরা আটকে পড়ছিলাম। কোনো চাপ আসেনি। আমি তাঁকে বলছিলাম যে, “আপনার খেলা ঠিক আছে, একটা ওভার ভালো গেলেই আপনি পরে রান কাভার করে ফেলতে পারবেন।” এসব নিয়েই কথা হচ্ছিল। দুজনই দুজনকে বলছিলাম যে বাড়তি কিছু করার দরকার নেই।’

দারুণ এই জুটির মধ্যেও খচখচানিটা ওই সেঞ্চুরি না পাওয়াই। সৌম্য ৭৩ রানে ফিরেছেন, তামিম ফিরেছেন তিন অঙ্কের আরও কাছে গিয়ে (৮০)। এটিকে দুর্ভাগ্য হিসেবেই দেখছেন সৌম্য, ‘আমাদের দুজনেরই সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু দুজনই দুর্ভাগ্যক্রমে সে সুযোগ হারিয়েছি। আমাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আশা করছি, এ থেকে আমরা শিখব। এবং ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আরও বড় ইনিংস খেলব।’

প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে দলের আত্মবিশ্বাস এখন অন্য মাত্রারই। সৌম্য এখন স্বপ্ন দেখছেন টুর্নামেন্ট জয়ের, ‘টুর্নামেন্টে আমাদের শুরুটা দারুণ হলো। যেহেতু আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে, আমি বিশ্বাস করি আমরা আমাদের ভালো ফর্মটা বজায় রেখে এই টুর্নামেন্টটা জিততে পারব।’