তামিমদের বড় উপকার করলেন সৌম্য-লিটনরা

আজও দারুণ খেলেছেন সৌম্য।ছবি: প্রথম আলো

কাজটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল। হয়েছেও তা–ই। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শেষ চার নিশ্চিত করতে টুর্নামেন্টের সেরা ফর্মে থাকা দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে জিততে হতো মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে। সেটি আর হলো কই। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের কাছে ৩৬ রানে হেরেছে রাজশাহী।

এখন তাদের চেয়ে থাকতে হবে দিনের শেষ ম্যাচের দিকে। বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে খেলবে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। বরিশাল জিতলেই চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে যাবেন তামিমরা। হারলে রানরেটে এগিয়ে থেকে প্লে অফ খেলবেন নাজমুল-সাইফউদ্দিনরা।

প্লে-অফের আগে ফর্ম হারাননি লিটনও।
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালের ভাগ্যটা তাদের হাতেই রেখে দেওয়ার কাজটি করে দিয়েছেন সৌম্য-লিটনরা। আজ আগে ব্যাট করে দুজনই করেছেন ফিফটি। দুজনই একবার করে জীবন পেয়েছেন। সেটি কাজে লাগিয়ে বড় রানের দিকে এগোচ্ছিলেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার। ৬.২ ওভারেই পঞ্চাশ ছাড়ায় দলের রান। মাঝের ওভারে কিছুটা ধীরে খেললেও শেষে দ্রুত রান তোলার ইঙ্গিত ছিল দুজনের ব্যাটে।

আনিসুল ইসলাম এসে ভাঙেন দুজনের জুটি। সৌম্যকে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন। ৪৮ বলে ৬৩ রানে শেষ হয় সৌম্যর ইনিংস। বড় বিপদ দেখা দেয় পরের দুই ওভারে। ১৬তম ওভারে রেজাউর রহমানের বলে ৫৫ রানে লিটন আউট হন। পরের ওভারে আউট অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। দলে সম্ভাব্য রান থেকে প্রায় ২০ রান কমে যায় এই তিন উইকেট পতনে। আগের ম্যাচের নায়ক শামসুর রহমান দ্রুত ৩০ রান যোগ করে চট্টগ্রামকে নিয়ে যান ১৭৫ রানে।

ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদুল।
ছবি: প্রথম আলো

এই রান তাড়া করতে রাজশাহীর বড় শক্তি হতে পারতেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও আনিসুল ইসলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, দুজনই আউট হন ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে। রনি তালুকদার, ফজলে মাহমুদরা কিছু করতে পারেননি। রান তাড়ার চেষ্টা দেখা গেছে মেহেদী হাসানের ব্যাটিংয়ে। নিজের জন্মদিনে ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন এই অলরাউন্ডার। রাজশাহীর আশা ভঙ্গ হয় সেখানেই। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে মাত্র ১৩৯ রান করে রাজশাহী।

রাজশাহীর ব্যাটিং ডুবিয়েছে নাহিদুল ইসলামের অফ স্পিন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদুল।