তারুণ্যের উত্থানই বড় অর্জন

তারুণ্যের উত্থানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপ।ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় দল ও প্রথম শ্রেণির তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতি ছিল। সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী যুবদল আর হাই পারফরম্যান্স বিভাগের ক্রিকেটারেরা। এই টুর্নামেন্টের বিশেষত্ব ছিল আরও কিছু।

সাকিব-মাশরাফির ফেরা

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ছিল অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটে ফেরার মঞ্চ। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির পর জেমকন খুলনার হয়েই প্রথম ম্যাচ খেলেন সাকিব। কিন্তু চেনা ছন্দের সাকিবকে দেখা যায়নি টুর্নামেন্টে। গত আট মাস করোনা আর চোট-আঘাতের সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি দিয়ে ক্রিকেটে ফেরেন মাশরাফিও। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের দল খুলনাতে যোগ দিয়ে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে নেন ৫ উইকেট।

মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এর আগে কোনো ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ট্রফি জিতেননি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে তাঁর ৪৮ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংসই খুলনাকে শিরোপা জেতায়। প্রেসিডেন্টস কাপও জিতেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

আগামী দিনের বেশ কয়েকজন তারকার উত্থান ঘটেছে এ টুর্নামেন্টে।
ছবি: প্রথম আলো

তরুণদের উত্থান

বিসিবি হাই পারফরম্যান্স বিভাগের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই খেলেছেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। এবারের হাই পারফরম্যান্স দলটি সাজানো ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে। বিশ্বকাপ সাফল্যের পর তাঁদের নিয়ে বিসিবির অনেক পরিকল্পনা থাকলেও তা ভেস্তে যায় করোনার কারণে। তবে সুযোগ পেয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে ঠিকই নিজেদের চিনিয়েছেন আগামী দিনের তারকারা। বরিশালের হয়ে পারভেজের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি টুর্নামেন্টের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি। আকবর ও শামিমের মারার সামর্থ্য নজর কাড়ে। সঙ্গে শরিফুলের বাঁহাতি পেস বোলিং-তারুণ্যের উত্থানই টুর্নামেন্টের বড় প্রাপ্তি।

ওপেনারদের টুর্নামেন্ট

টুর্নামেন্টের সেরা ১০ ব্যাটসম্যানের সাতজনই টপ অর্ডার। টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি, দুটিই ওপেনারের ব্যাট থেকে। তিনজনই তরুণ ব্যাটসম্যান, যাঁরা এখনো জাতীয় দলে জায়গা পাকা করেননি। রাজশাহীর ওপেনার নাজমুল হোসেন ও ঢাকার মোহাম্মদ নাঈম এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। তিনে নেমে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করা পারভেজও মূলত ওপেনারই। সঙ্গে টুর্নামেন্টজুড়েই ভালো খেলা চট্টগ্রামের সৌম্য সরকার ও লিটন দাস তো আছেনই। টুর্নামেন্টের মধ্যে সুযোগ পেয়ে দাপট দেখিয়েছেন বরিশালের ওপেনার সাইফ হাসান ও খুলনার জাকির হাসান। অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলামও ছিলেন ধারাবাহিক। ৩২৪ রান করে লিটনের (৩৯৩) পর তামিম ইকবাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান।

পেস বোলিংয়ে প্রতিযোগিতা

সেরা ১০ বোলারের তালিকায় মাত্র একজন স্পিনার-৮ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়া রবিউল ইসলাম। অন্যদিকে পেস বোলারদের মধ্যে ছিল একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। তারকা পেসারদের পাশাপাশি হাসান মাহমুদ, মুকিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শরিফুলদের পারফরম্যান্সও ছিল দেখার মতো।