‘দিল্লি কা লাড্ডু’তে আচমকা ‘কাবাব মে হাড্ডি’ সুন্দর

ভারতের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল। ইংল্যান্ডের আরেকটি উইকেট পতনের পর কোহলিদের উল্লাসছবি: বিসিসিআই

দিল্লির লাড্ডু দেখতে কেমন?

ইন্টারনেটের সৌজন্যে সেখানে না গিয়েও এখন বিখ্যাত এই লাড্ডু দেখা যায়। এই বিখ্যাত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সেই প্রচলিত কথাটা—দিল্লির লাড্ডু যে খায় সে পস্তায়, যে খায় না সে–ও!

আজ কথাটা উঠছে অন্য এক ‘লাড্ডু’র লাট্টুর মতো ঘূর্ণি দেখে। সেই লাড্ডুর রং গোলাপি, আর তা ‘খেতে’ (খেলতে) কিংবা না খেতে (ছাড়তে) গিয়েও পস্তাতে হয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের।

আহমেদাবাদ টেস্টে এই দুই দিন ধরে ভারতীয় স্পিনারদের কাছে ইংল্যান্ড হেরেছে এক ধন্দে ডুবে—খেলব না ছাড়ব? পস্তাতে হয়েছে দুটো–ই করতে গিয়েই। আর তাতে শুধু কথায় নয়, বাস্তবিকভাবেই উঠে এসেছে দিল্লির নাম।

আহমেদাবাদ টেস্টে স্কোরকার্ড দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের পতন হওয়া ২০ উইকেটের মধ্যে দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা মিলে নিয়েছেন ১৯ উইকেট।

ইশান্ত শর্মা, অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন—এই তিন বোলার আইপিএলে খেলছেন দিল্লির হয়ে। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩৮ রানে ৬ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর। ২৬ রানে ৩ উইকেট ডানহাতি স্পিনার অশ্বিনের। বাকি ১ উইকেটও দিল্লির পেসার ইশান্তের।

ইংল্যান্ডের দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল
ছবি: টুইটার

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে গিয়ে ইশান্ত আর বল হাতে পাননি। সফরকারীদের এই ইনিংসের পুরোটা সময় রাজ করেছেন স্পিনাররা। যেখানে অক্ষর ১৫ ওভার বল করে ৩২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অশ্বিন ১৫ ওভারে ৪৮ রানে ৪ উইকেট।

আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরকে সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৪ বল করার। ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট জেমস অ্যান্ডারসন যে এর মধ্যেই তাঁর বলে আউট!

সুন্দর ওই ওভারটা না করলে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের পুরোটাই হতে পারত দিল্লির ‘লাড্ডু’দের লাট্টুর মতো বল ঘোরানোর শিকার। সুন্দর তাই এই ইনিংসে দিল্লির বোলারদের এই ‘কাবাব মে হাড্ডি।’

আহমেদাবাদ টেস্টে ভারতের ১০ উইকেটে জয় নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি স্যাম বিলিংস, টম কারেন ও ক্রিস ওকসদের। ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটাররা আইপিএলে রয়েছেন দিল্লির শিবিরে। তা থাকলেও দেশ তো, দেশের হার কার ভালো লাগে!

অশ্বিনের ঘূর্ণির সামনেও দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড
ছবি: বিসিসিআই

তবে বিলিংসদের এই কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পারে সময়। আইপিলের নতুন মৌসুমের ঘণ্টা বেজে উঠলে হয়তো এই আহমেদাবাদ টেস্টেই নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি বোলারদের কীর্তি মনে করে প্রেরণা নিতে পারেন তাঁরা। নয়তো, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচ হলে তার গেম–প্ল্যানে অক্ষর–অশ্বিনদের কীর্তির কথা মনে করিয়ে দিতে পারেন।