‘দুই দিন পর পর করোনা পরীক্ষা অস্বস্তিকর’

অনুশীলনে একটু অন্যরকমই লাগছে নাজমুল হোসেনের।ছবি: প্রথম আলো

দুদিন পর পর করোনা পরীক্ষা। কেউ কোভিড পজিটিভ হলেই তাঁকে ও তাঁর সংস্পর্শে আসা ক্রিকেটারদের একাডেমি ভবনে বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছে। করোনামুক্ত ক্রিকেটাররা থাকছেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। এই বলয়ে থাকা মানে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একটা উপায়। তবু এই ‘বন্দিজীবন’ খুব একটা উপভোগ্য মনে হচ্ছে না তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেনের।

ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের এ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা হয়েছে তিনবার। সর্বশেষ দুটি তো হয়েছে মাত্র তিন দিনের মধ্যে! ঘন ঘন করোনা পরীক্ষা আর জৈব সুরক্ষা বলয়ের বন্দিজীবনে একটু যেন হাঁফিয়েই উঠেছেন নাজমুল। আজ অনুশীলন শেষে ২২ বছর বয়সী টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বলছিলেন, ‘এটা অনেক কঠিন। পরীক্ষার কথা বললে, দুই দিন পর পর এটা একটু অস্বস্তি লাগে। নাকের ভেতর কিট দেওয়া, পরীক্ষা করা—এটা অস্বস্তিকর। কোয়ারেন্টিনে থাকতে কারও ভালো লাগে না। এত নিরাপত্তার মধ্যে থাকাটা স্বচ্ছন্দ বোধ করি না। তবু ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে সবাই। এভাবেই অনুশীলন করতে হবে, খেলতে হবে।’

ইনিংস লম্বা করাই লক্ষ্য নাজমুলের।
ছবি: প্রথম আলো

এখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে যেভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হচ্ছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় চার মাস বাড়িতে অনেকটা এ রকম অবরুদ্ধই থাকতে হয়েছে সবাইকে। নাজমুল অবশ্য সেটিতে ইতিবাচক দিকই খুঁজে পেয়েছেন, ‘লকডাউনে ইতিবাচক দিক বলতে অতীতে যে ভুলগুলো ছিল বা অতীতে যেখানে ভালো করেছি সেসব নিয়ে চিন্তা করার খুব ভালো সুযোগ পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজও করেছি। সামনে যদি সুযোগ পাই তাহলে অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে। নিজের খেলাগুলো নিয়ে ভালো বিশ্লেষণ করতে পেরেছি লকডাউনে, যেটা আমাকে অনেক উপকৃত করেছে।’

ঘন ঘন করোনা পরীক্ষায় অস্বস্তি লাগছে নাজমুলের।
ছবি: প্রথম আলো

শ্রীলঙ্কা সফরটা শেষ পর্যন্ত হলে নাজমুলের সুযোগ থাকবে দলকে ‘ভালো’ কিছুর উপহার দেওয়া। সর্বশেষ দুটি টেস্টে মুমিনুল হককে চারে নামিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে দিয়ে ‘নাম্বার থ্রি’র সমাধান করেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে করেছিলেন ৪৪ ও ৩৮ রান। মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস। সাম্প্রতিক ফর্মটা ভালো বলেই নাজমুল আত্মবিশ্বাসী, এই ছন্দ ধরে রাখবেন সামনেও, ‘আমার মনে হয় সর্বশেষ দুই–তিনটি ইনিংসে ভালো ব্যাটিং হয়েছে। যে জিনিসটা চাই তা হলো ইনিংসগুলো যেন লম্বা হয়। আর নিয়মিত যেন ভালো করতে পারি। আমার ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো থিতু হওয়া ইনিংসগুলো যেন বড় করতে পারি।’