দুর্দান্ত বাবরে অনায়াস জয় পাকিস্তানের

আরেকটি ম্যাচ, আরেকটি দারুণ ইনিংস বাবরের।ছবি: এএফপি

ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বাবর আজম। তিন ম্যাচের সিরিজে একটি ফিফটি ও সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন পাকিস্তানের সাদা বলের নতুন অধিনায়ক। ফর্মে থাকা সেই বাবরই জিম্বাবুয়ের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠলেন টি-টোয়েন্টিতেও। রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের জয়ের কোনো সুযোগই তৈরি হতে দেননি বাবর। তাঁর ৮২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকেরা। ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

বহুদিন পর টি-টোয়েন্টি খেলছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিচ্ছেদে এই সংস্করণের র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটসম্যানদের শীর্ষস্থান হারিয়ে ফেলেছিলেন বাবর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯টি রেটিং পয়েন্ট জোগাড় করতে পারলেই আবার নিজের রাজত্ব ফিরে পাবেন পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচেই সে পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। যে উইকেটে অন্য ব্যাটসম্যানদের খুব একটা স্বচ্ছন্দ মনে হয়নি, সেখানেই খেলেছেন চোখজুড়ানো এক ইনিংস।

১৩৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে নামা পাকিস্তান চতুর্থ ওভারেই ধাক্কা খেয়েছিল। ফখর জামান ফিরেছেন মাত্র ১৯ রান করে। তিনে নামা হায়দার আলীও টিকেছেন মোটে ৮ বল। কিন্তু পাকিস্তান এর মধ্যেও এগিয়েছে স্বচ্ছন্দে। অন্য প্রান্তে যে দারুণ ছন্দে আছেন বাবর। ব্লেসিং মুজারাবানির সুবাদে একবার জীবন ফিরে পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় নিখুঁত ছিল তাঁর ইনিংস। মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৮০ রান তুলেছেন। মাত্র ৫৫ বলের এ জুটিতে ৪৭ রানই ছিল বাবরের। ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮২ করে ফিরেছেন জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে থাকতে। তাঁর তুলনায় হাফিজের ইনিংসটি ছিল অনেকটা ওয়ানডে মেজাজের, ৩২ বলে করেছেন ৩৬ রান।

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে খুব বড় সংগ্রহ করতে দেননি পাকিস্তানের বোলাররা। পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নিয়ে রানের স্রোতে বাঁধ দিয়েছেন। শন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি মাধভেরে একটু গুছিয়ে নিয়েছিলেন। ওসমান কাদিরের অভিষেক ওভারটাকে দুঃস্বপ্ন বানিয়ে ফেলেছিলেন দুজন। আবদুল কাদিরের পুত্রের প্রথম ওভারে ১৩ রান তুলেছেন এ দুজন। এর প্রতিশোধ কাদির নিয়েছেন পরের ওভারেই। উইলিয়ামসকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ২৫ রানে।

বাবরের ক্যাচ ফেলে দিলেন মুজারাবানি।
ছবি: এএফপি

মাধভেরেকে অবশ্য কেউ ফেরাতে পারেননি। নিজের মতোই খেলে গেছেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে কোনো সাহায্য পাননি। ৪৮ বলে ৭০ রান তুলেছেন ৯ চার ও এক ছক্কায়। শেষ দিকে শুধু এলটন চিগম্বুরা ১৩ বলে ২১ রান করে সহযোগিতা করেছেন। ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে থেমেছিল জিম্বাবুয়ে।

একই মাঠে আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।