দেশের বাইরে মিরাজই সেরা
ভিক্টর নিয়াউচিকে বোল্ড করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। নিয়াউচি হাঁটাও দিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। তবে ফিরিয়ে আনা হলো তাঁকে, তাসকিনের ফ্রন্ট ফুট যে ছিল পপিং ক্রিজের বাইরে!
সেই উইকেট পেলে ১৩ বছর পর সেই হারারেতেই রবিউল ইসলামের পর প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে ইনিংসে ৫ উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। আপাতত ক্যারিয়ার–সেরা ৮২ রানে ৪ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
তাসকিন না পারলেও রবিউলেরই একটা রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নিয়েছেন চার উইকেট। এই অফ স্পিনারের ১৪৮ রানে ৯ উইকেটই বিদেশের মাটিতে এখন কোনো বাংলাদেশি বোলারের সেরা। ২০১৩ সালে হারারেতেই রবিউল ইসলাম ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ১৫৫ রানে।
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচসেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় এরপরই আছেন এ টেস্ট দিয়ে বিদায় বলা মাহমুদউল্লাহ। ২০০৯ সালে অভিষেকেই ৮ উইকেট নিয়েছিলেন এই অফ স্পিনার। কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ৮ উইকেট পেতে ১১০ রান দিতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। এ ছাড়া ৮ উইকেট আছে সাকিব আল হাসানের, সে সিরিজেই পরের টেস্টে পেয়েছিলেন।
আর ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনজন—২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে খালেদ মাহমুদ ও মোহাম্মদ রফিক এবং ২০১৮ সালে কিংস্টনে মিরাজ।
হারারেতে দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ ও তাসকিন ছাড়াও প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। একই ম্যাচে আলাদা তিনজনের ইনিংসে কমপক্ষে চার উইকেট নেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের টেস্টে ঘটল এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার।
এর আগে গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার উইকেট করে নিয়েছিলেন আবু জায়েদ, নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। এর আগে এমন ঘটেছিল ২০১৩ সালে। সেবার বোলার ছিলেন রবিউল ইসলাম, সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান। সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়েই।