তৃতীয় ওয়ানডতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন
লিটন দাস আজ খেলছেন না। তাঁর জায়গায় খেলছেন আগে একটি ওয়ানডে খেলা ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় ম্যাচে মাথায় আঘাত পাওয়া সাইফউদ্দিনের বদলে আজ প্রথম থেকেই দলে তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি বোলিং করেছিলেন সাইফউদ্দিনের ‘কনকাশন বদলি’ হিসেবে
শরীফুলকে দিয়ে শুরু বাংলাদেশের আক্রমণ
বাউন্ডারি!!!! শরীফুলের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারলেন দানুষ্কা গুনাতিলকা। পয়েন্ট দিয়ে সীমআনার বাইরে পাঠিয়েছেন তিনি
প্রথম তিন বলের দুটিতেই চার!!!!
দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়েছেন গুনাতিলকা। তৃতীয় বলে চার মেরেছেন কুশল পেরেরা।
প্রথম ওভারে শ্রীলঙ্কা নিয়েছে ৯ রান
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ
ভালো ওভার মিরাজের। তাঁর প্রথম ওভার থেকে এসেছে মাত্র ২ রান।
শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১১/০
শরীফুলের বাজে শুরু
বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম ওভারে ৯ রান দেওয়ার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ৮ রান দেন তিনি। এই দুই ওভারে দুটি করে চার হজম করেন তিনি। তৃতীয় ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৯। অন্যদিকে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের শুরুটা ভালো হয়েছে। নিজের প্রথম ওভারে ২ রান দেন তিনি।
বোলিংয়ে মোসাদ্দেক হোসেন
চতুর্থ ওভারে মিরাজ ৮ রান দেওয়ার পর পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন তামিম। শরীফুলকে বসিয়ে স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেককে বোলিংয়ে আনেন তিনি। তিনিও দুটি চার হজম করেন। স্বাভাবিক ব্যাটিংয়েই রান তুলছেন দুই লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরা ও দানুস্কা গুনাতিলকা। ৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩৬ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
সহজ পঞ্চাশ শ্রীলঙ্কার
৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫০ রান তুলেছেন দুই লঙ্কান ওপেনার পেরেরা ও গুনাতিলকা। এরই মধ্যে তিন বোলার ব্যবহার করেছেন তামিম। স্পিনাররা একটু বেশি শর্ট বল করায় হাত খুলে খেলতে পারছেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। সপ্তম ওভারে দুটি চার হজম করে মোট ৯ রান দেন মোসাদ্দেক। ২৫ বলে ৩১ রানে ব্যাট করছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক পেরেরা। অন্য প্রান্তে ১৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত গুনাতিলকা।
বোলিংয়ে তাসকিন
নবম ওভারে পেসার তাসকিন আহমেদকে বোলিংয়ে আনেন তামিম। আরেক পেসার শরীফুলের মতো তিনিও নিজের প্রথম বলে চার হজম করেন। খাটো লেংথের বল কোমর উচ্চতায় ওঠায় আরামে পুল করেন গুনাতিলকা। নিজের প্রথম ওভারে শুরুটা ভালো হয়নি তাসকিনের। দুটো চার হজম করে ১২ রান দেন তিনি। নবম ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৬।
জোড়ায় জোড়ায় চার হজম পেসারদের
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে প্রথম ওভারে দুটি চার হজম করেন শরীফুল ইসলাম। নিজের পরের ওভারেও আরও দুটি চার হজম করেন বাঁহাতি এ পেসার। নবম ওভারে তাসকিন এসেও দুটি চার হজম করেন। প্রথম ১০ ওভারে দুই পেসার মিলে তিন ওভারে বল করে প্রতি ওভারেই দুটি করে চার হজম করেন। বেশির ভাগই বাজে ডেলিভারির খেসারত।
পাওয়ার–প্লের ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
পাওয়ার–প্লে শেষে আক্রমণে মোস্তাফিজ
১১তম ওভারে পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে আনেন তামিম। নিজের প্রথম ওভারেই কাটার ও লাইন–লেংথ বজায় রেখে মাত্র ২ রান দেন তিনি। ১১ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৭৯ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
আউট !!!!
অবশেষে ব্রেক থ্রু পেল বাংলাদেশ। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন দানুষ্কা গুনাতিলকা। অফ স্টাম্পের ওপর ফুলিশ লেংথের বলটি মিড উইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন গুনাতিলকা। কিন্তু পারেননি। বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে তাঁর স্টাম্পে। ৩৩ বলে ৩৯ করে ফিরেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১১. ৩ ওভারে ১ উইকেটে ৮২
তাসকিনের জোড়া আঘাত, ওয়ানডেতে তাঁর ৫০তম উইকেট
শুরুটা বাজে করলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন তাসকিন। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় ও শেষ বলে দুটি উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে পাল্টা চাপে ফেলেছেন এ পেসার। উইকেটে আসা পাথুম নিশাঙ্কাকে দারুণ এক ডেলিভারিতে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। লেংথ থেকে বল ওঠায় ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি নিশাঙ্কা (০)। এই ওভারে ৩ রানে ২ উইকেট নিলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে ৫০তম উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন।
১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮২। উইকেটে পেরেরার সঙ্গে রয়েছেন কুশল মেন্ডিস।
লঙ্কানদের পরীক্ষা নিচ্ছেন মোস্তাফিজ–তাসকিন
পাওয়ার–প্লের পর পেসার ভালো করায় স্পিনারদের আর আক্রমণে নিয়ে আসেননি তামিম। গতি, বাউন্স ও ভালো লাইন–লেংথের মিশেলে এই স্পেলে নজর কাড়ছেন তাসকিন। মোস্তাফিজ কাটারের সঙ্গে লাইন–লেংথ ধরে বল করছেন। পাওয়ার প্লের পর ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান তুলতে পেরেছ শ্রীলঙ্কা।
১৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৮।
পেরেরার ফিফটি, শ্রীলঙ্কার এক শ পার
কুশল পেরেরা দ্রুত রান তুলতে পছন্দ করেন। পুল ও হুকে ভালো। ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডার রেখে তাসকিন তাঁকে বাউন্সার দিয়ে লোভ দেখানোর চেস্টা করেও আউট করতে পারেননি। বাজে বল ঠিকই সীমানাছাড়া করে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক। পেরেরার ১৫তম ওয়ানডে ফিফটি। ৮ চারে ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর নিশ্চয়ই ইনিংস বড় করতে চাইবেন তিনি।
১৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১০১ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ৪৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত পেরেরা।
বোলিংয়ে ফিরে ভালো করলেন শরীফুল
১৭তম ওভারে শরীফুলকে আবারও বোলিংয়ে আনেন তামিম। এই ওভারে মাত্র ২ রান দেওয়ার পাশাপাশি ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার ছুঁইছুঁই গতিতে বল করেন তিনি।
১৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৩।
রান আউট থেকে বাঁচলেন মেন্ডিস
শরীফুলের করা ১৯তম ওভারের শেষ বলে রান আউট থেকে বাঁচলেন কুশল মেন্ডিস। বল মিডউইকেটে ঠেলে অপরপ্রান্তে পেরেরা দৌড়াচ্ছেন কি না, তা দেখেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মেন্ডিস। ফিল্ডারের সরাসরি থ্রো স্টাম্পে লাগলে রান আউট হতে পারতেন। ডাইভ দিয়ে ক্রিজে ফেরেন মেন্ডিস।
১৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৬।
জুটি গড়ছেন মেন্ডিস–পেরেরা
২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২০। দলীয় ৮২ রানে জুটি বাঁধেন পেরেরা ও মেন্ডিস। এখন পর্যন্ত ৪৮ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
২১তম ওভার থেকে সাকিবকে আক্রমণে এনেছেন তামিম।
বোলিংয়ে সাকিব, হাতছানি দিচ্ছে রেকর্ড
২১তম ওভারে সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক তামিম। মাত্র ৩ রান দিয়ে শুরুটা ভালোই করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সাকিব আর ১ উইকেট পেলে ওয়ানডেতে মাশরাফিকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেশিকারি হবেন।
এ ছাড়াও ওয়ানডেতে এক মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি শুধু নিজের করে নিতেও আর মাত্র ১ উইকেট চাই সাকিবের। ওয়াসিম আকরামের (শারজা) সঙ্গে সমান ১২২ উইকেট নিয়ে আপাতত তাঁর পাশে আছেন সাকিব (শেরেবাংলা)।
২২তম ওভারে মিরাজকে বোলিংয়ে আনেন তামিম। অর্থাৎ এখন দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনাররা বল করছেন। ২২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১২৬ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
সাকিবের বলে বেঁচে গেলেন পেরেরা
২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে সাকিবকে রিভার্স সুইপ করেছিলেন পেরেরা। নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় বল উঠে যায় শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে। একটু কঠিন ক্যাচ ফিল্ডার নিতে পারেননি। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিফটি–ফিফটি সুযোগকে শতভাগ নিজের করে নেওয়াই তো প্রত্যাশিত। উইকেটটি পেলেই রেকর্ড হয়ে যেত সাকিবের।
২৩ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৩১ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
পেরেরা–মেন্ডিসের পাল্টা লড়াই
১২তম ওভারে ৫ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারানোর পর চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন পেরেরা–মেন্ডিস জুটি। এই পথে দুজনেই ভালো করছেন। এ পর্যন্ত ৭২ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান। পেরেরা ফিফটি তুলে নিয়ে এখন সেঞ্চুরির পথে আছেন (৭৭)। ২০ রানে অপরাজিত মেন্ডিস।
২৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৪৫ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ২৪তম ওভারে দুটি ছক্কা হজম করে মোট ১৪ রান দেন মোসাদ্দেক।
সাকিবের বলে আবারও ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া
২৫তম ওভারের শেষ বলে সাকিবকে লং অনের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন পেরেরা। ক্যাচ নেওয়ার মতো পজিশনে ছিলেন না আফিফ। ডাইভ দিয়েও ক্যাচটি নিতে পারেননি তিনি।
মেন্ডিসকে ফেরালেন তাসকিন
২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাসকিনের উঠে আসা বল মিড অনে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন কুশল মেন্ডিস। তাঁর কুৎসিত শটে ওঠা ক্যাচ নিতে অসুবিধা হয়নি তামিমের। ২২ রান করে ফিরলেন মেন্ডিস। এর মধ্য দিয়ে ভাঙল পেরেরা–মেন্ডিসের ৬৯ রানের জুটি।
মোসাদ্দেকের জায়গায় তাসকিনকে এনে বোলিংয়ে পরিবর্তন করে উইকেট তুলে নিলেন তামিম। ২৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫১। ৮১ রানে ব্যাট করছেন পেরেরা।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ধনঞ্জয়া
তাসকিন আবারও কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন লঙ্কানদের বুকে। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। মাঠের আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান এই ব্যাটসম্যান। ২৮ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬১ রান। ১০ বলে খেলে ৩ রান ধনঞ্জয়ার, ৮৫ বলে ৮৮ কুশল পেরেরার।
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় পেরেরা
৯৩ বলে ৯৫ নিয়ে অপরাজিত আছেন কুশল পেরেরা। ৩০ ওভারে ১৭০ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
৯৯ রানে বাঁচলেন পেরেরা
মোস্তাফিজের করা ৩২তম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলেছিলেন পেরেরা। বল ঠিকমতো ব্যাটে না লাগায় মিড অফে ক্যাচ ওঠে। মাহমুদউল্লাহ ডাইভ দিয়েও ক্যাচটি নিতে পারেননি। ক্যাচটি সহজ না হলেও ধরা উচিত ছিল তাঁর।
পেরেরার সেঞ্চুরি
জীবন পাওয়ার পরের বলেই ১ রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ছয় নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। অধিনায়কোচিত এক ইনিংস খেললেন তিনি। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৯৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
৩২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেটে ১৭৭।
চড়াও হওয়ার চেষ্টা করছেন লঙ্কানরা
৩৫তম ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৫। মোস্তাফিজের করা ৩৫তম ওভারে ১০ রান পেরেরা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ১১০ রানে ব্যাট করছেন পেরেরা।
দুই শ পার শ্রীলঙ্কার
৩৬তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ দুই শ পার করল শ্রীলঙ্কা। পরের ওভারে পেরেরা ও ধনাঞ্জয়ার জুটি পঞ্চাশ পেরিয়ে যায়। ৭০ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
৩৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৩।
পেরেরা ফিরলেন মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ক্যাচে
ব্যক্তিগত ৯৯ রানে কুশল পেরেরার ক্যাচ ফেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তুলনামূলক সহজ ক্যাচ। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ওই ক্যাচ ফেলার প্রায়শ্চিত্ত করলেন তিনি দারুণ এক ক্যাচে কুশলকে ফিরিয়ে। ১২২ বলে ১২০ করে ফিরেছেন তিনি। উইকেটটি নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম।
তিন শ ছুঁতে পারবে শ্রীলঙ্কা?
৪০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৭। ওভারপ্রতি গড় রান ৫.৪২। এখান থেকে শেষ ১০ ওভারে কত রাত তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা? তিন শ রান ছুঁতে পারবে? উত্তর জানা যাবে বাকি ৬০টি বৈধ ডেলিভারি শেষে।
এক প্রান্ত থেকে সাকিব, আরেক প্রান্ত থেকে মোস্তাফিজ
৪০ ওভার পর্যন্ত মোস্তাফিজকে দিয়ে ৬ ওভার বল করিয়েছিলেন তামিম। বোঝাই যাচ্ছিল শেষ ১০ ওভারের ‘ডেথ’ মঞ্চে তাঁকে কাজে লাগাবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৪১তম ওভারে সাকিব ৮ রান দেওয়ার পর অপর প্রান্ত থেকে মোস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন তামিম। এই ওভারে ৪ রান দিয়ে এই স্পেলে ভালো শুরু করেন মোস্তাফিজ।
৪২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৯।
রান আউট ডিকভেলা
৪৩তম ওভারে রান নিতে গিয়ে শরীফুলের সরাসরি থ্রো–তে রান আউট হন নিরোশান ডিকভেলা। ৭ রান করে আউট হন তিনি। ৪৩তম ওভারে ৫ রান দেন সাকিব। এই ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৩৪।
৬ উইকেটে ২৮৬ রানে থামল শ্রীলঙ্কা
৪০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২১৭। এখান শেষ ১০ ওভারে দলীয় সংগ্রহ তিন শ পার করার ভালো সুযোগ ছিল লঙ্কানদের। কিন্তু শরীফুল, মোস্তাফিজ ও সাকিবরা মিলে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করায় তিন শ–র দেখা পায়নি শ্রীলঙ্কা। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানে থেমেছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
শেষ ১০ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। সে তুলনায় ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ৭৭ রান দিয়ে শুরুটা বাজে করেছিলেন বোলাররা। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তাসকিন–মোস্তাফিজরা। ১১ থেকে ২০ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে তারা দিয়েছেন ৪৩ রান। এতে চাপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কুশল পেরেরার দাপুটে ও দৃঢ়তাপূর্ণ ইনিংসে এই চাপ কাটিয়ে উঠেছিল তারা।
২১ থেকে ৩০ ওভারের মধ্যে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। এরপর ৩১ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ৪৭ রান তুলতে ১ উইকেট হারায় তারা। মোটামুটি শুরুর ১০ ওভার ছাড়া বাকি সময় লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। শ্রীলঙ্কা লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মূলত পেরেরার ১২২ বলে ১২০ রানের ইনিংসে। ১১ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। শেষ দিকে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার (৫৫*) ফিফটিতে বেশ খানিকটায় এগোয় শ্রীলঙ্কার রানের চাকা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তাসকিন। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। প্রথম ১০ ওভারে বাজে শুরুর পর বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা হয় তাসকিনের হাত ধরে, এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে। ১টি উইকেট নেন শরীফুল।
১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি সাকিব। মোট ছয় বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক তামিম। বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে দু–তিনটি ক্যাচের সুযোগ নিতে পারলে আরও কম রানে থামতে পারত শ্রীলঙ্কার ইনিংস। শেষ ওভারে ১৮ রান দিয়ে শেষটা ভালো করতে পারেননি শরীফুল। বাংলাদেশের কোনো স্পিনার আজ উইকেট পাননি। মোট তিন স্পিনার (সাকিব, মিরাজ ও মোসাদ্দেক) ব্যবহার করেন তামিম।
আজ তিন স্পিনার মিলে ২৩ ওভার বল করেছেন। কোনো ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনাররা মিলে সর্বোচ্চ ৩০ ওভার বল করে উইকেটশূন্য থেকেছেন—২০১১ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
দ্বিতীয় ওভারেই আউট নাঈম
জয়ের জন্য ২৮৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে ২ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম। পেসার দুষ্মন্ত চামিরার করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২ রান। উইকেটে তামিমের সঙ্গে আছেন সাকিব।
সাকিব দাঁড়াতেই পারছেন না!
দুষ্মন্ত চামিরার করা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগে মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। ৪ রান করে আউট হন তিনি। তিন ম্যাচের এই সিরিজে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারলেন না তিনি।
৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১।
অবশেষে বাউন্ডারি!
ইনিংসে ৩৭ বল কেটে গিয়েছিল, উইকেট চলে গেছে দুটি। কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসে বাউন্ডারির দেখা মেলেনি। অবশেষে ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এসে বাংলাদেশ ইনিংস দেখল প্রথম বাউন্ডারি।
ব্যাটসম্যান - তামিম ইকবাল। বোলার - বিনুরা ফার্নান্দো। বাঁহাতি বোলারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন তামিম। পরের বলটি স্ট্রেইট ড্রাইভে পাঠিয়ে দিলেন সীমানার বাইরে। ওভারে আসে ৬ রান, ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৯।
তামিমও আউট হয়ে গেলেন
বাংলাদেশ ইনিংসে এখন পর্যন্ত যে দুটি চার, দুটিই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে। তামিম ইকবালের ব্যাটে-বলে হচ্ছিল বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু একদিকে তামিম আর অন্যদিকে সিরিজজুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা মুশফিককে ঘিরে যখনই আশা দেখছিল বাংলাদেশ, তামিম আউট হয়ে গেলেন! বোলার? সেই দুষ্মন্ত চামিরা! বাংলাদেশের তিন উইকেটের তিনটিই এখন পর্যন্ত চামিরাই নিলেন।
চামিরার স্লোয়ার বলটা তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে ডিকভেলার হাতে যেতেই শ্রীলঙ্কানদের আবেদন। আম্পায়ার আঙুল তোলেন। কিন্তু তামিম সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন। নেওয়ার কারণও ছিল, তামিমের ব্যাট বলে লাগার সময়ে মাটিতেও লেগেছিল। রিভিউতেও দেখা যায়, ব্যাটে যখন বল লেগেছে বলে স্নিকোমিটারে মৃদু ওঠানামা চলছে, ঠিক সে সময়টাতেই ব্যাট মাটিতে লাগে। তৃতীয় আম্পায়ার তাই আউটই দেন। কিন্তু তামিমের সিদ্ধান্তটা মানতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। রাগে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ ওপেনার।
দশম ওভারের দ্বিতীয় বলটাতে তামিম আউট হয়েছেন ২৯ বলে ১৭ রান করে। বাংলাদেশের রান এই মুহূর্তে ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯। ক্রিজে মুশফিকের (২১ বলে ৫ রান) সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন (১ বলে ১ রান)
পঞ্চাশ পেরোল বাংলাদেশের ইনিংস
লক্ষ্য ২৮৭ রানের। ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে ৫ রান করে নিতে হবে। সে পথে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। ৯ রানের মধ্যে নাইম ও সাকিবকে হারানো বাংলাদেশ দশম ওভারে দলীয় ২৮ রানে হারিয়েছে তামিমকেও। এরপর থেকে মুশফিক ও মোসাদ্দেক মিলে ইনিংস মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। একটা জুটি দরকার বাংলাদেশের, মুশফিক-মোসাদ্দেক তা-ই চেষ্টা করছেন। তবে তাতে রান আসছে ধীরগতিতে।
এই যে দেখুন, ইনিংসের ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে এসে অবশেষে ফিফটি ছুঁয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে মুশফিক ৩২ বলে ১৪ রানে অপরাজিত, মোসাদ্দেকের রান ২৩ বলে ১২।
ইনিংসের প্রথম ছক্কা!
চামিকা করুণারত্নের বলে গতি আছে, বাউন্সও আছে। শুধু লাইন-লেংথটাতে একটু নিয়ন্ত্রণের অভাব। মোসাদ্দেক হোসেনের তাতে সুবিধাই হলো! ১৮তম ওভারের পঞ্চম ওভারে মোসাদ্দেকের সৌজন্যে বাংলাদেশের ইনিংস প্রথম ছক্কাও দেখল!
গতির ওপর বাউন্সার দিয়েছিলেন করুণারত্নে। কিন্তু বলটা লেগ সাইডে ছিল। মোসাদ্দেক এমন সুযোগ আর হেলায় হারালেন না! দারুণ হুকে বল পাঠিয়ে দিলেন ডিপ মিডউইকেটের বাউন্ডারির বাইরে। বাউন্ডারিতে ফিল্ডার ছিলেন, কিন্তু তাঁকে দর্শক বানিয়ে বল অনেক ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে। ছক্কা!
বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি ২৭ বল পর প্রথম বাউন্ডারিও। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনিংসের তৃতীয় ও সর্বশেষ চারটি মোসাদ্দেকই মেরেছিলেন ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। এরপর মুশফিক-মোসাদ্দেকের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ ওয়ানডে নয়, টেস্ট খেলছে। কিংবা ওয়ানডে হলেও তাতে লক্ষ্য ২৮৭ নয়, ১৪০-১৫০ গোছের কিছু।
মোসাদ্দেকের এই ছক্কায় যদি বাউন্ডারির বাঁধ খোলে! এই ছক্কার আগের তিন ওভারেই রান এসেছে মাত্র ৫টি! চার-ছক্কা তো নেই-ই, সিঙ্গেলেরও বালাই নেই। ওই ছক্কার পরের দুই ওভারেও একই অবস্থা! ওই ছক্কা নিয়ে ১৮তম ওভারে ১১ রান এসেছিল, এর পরের দুই ওভারে ৬ রান।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৭০। মোসাদ্দেকের রান ৪০ বলে ২৪, মুশফিকের ৪২ বলে ২১।
জুটিতে ৫০ পেরোতেই মুশফিক আউট
রানের গতি অত বেশি নয় ঠিকই, তবে মুশফিক ও মোসাদ্দেক মিলে শক্ত একটা ভিত্তি এনে দেওয়ার পথে ছিলেন। চতুর্থ উইকেটে দুজন ৮৩ বলে ৫৬ রানও এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু রান তোলার চাপটা পেয়ে বসেছিল মুশফিককে। ২৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রমেশ মেন্ডিসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুশফিক ধরা পড়লেন লং-অনে।
আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা মুশফিকের আজ ব্যাটে-বলে সেভাবে হচ্ছিল না। ২৮ রান করেছেন ৫৪ বলে! ইনিংসে কোনো চারও নেই। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে মুশফিককে হারিয়ে বাংলাদেশের রান ২৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৮৮।
মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত আছেন ৫০ বলে ৩২ রানে। ক্রিজে তাঁর সঙ্গী হতে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি অপরাজিত ২ বলে ১ রানে।
১০০ পেরোল বাংলাদেশ
মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে গেলেও মোসাদ্দেক হোসেন এখনো আছেন বাংলাদেশের আশা হয়ে। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান বলতে এরপর আছেন শুধু আফিফ হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজ। সে কারণে মোসাদ্দেক আর মাহমুদউল্লাহর জুটিতেই বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ার আশা করে।
জুটির শুরুটা ভালোই হলো। ২৬তম ওভারের শেষ বলে রমেশ মেন্ডিসের বলে দারুণ এক চার মেরেছেন মোসাদ্দেক। আর সেই চারে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৯৯-এ। পরের ওভারের বিনুরা ফার্নান্দোর প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সিঙ্গেল নিতেই হয়ে গেল বাংলাদেশ ইনিংসের ১০০।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে মোসাদ্দেক অপরাজিত ৫৫ বলে ৩৯ রানে, মাহমুদউল্লাহর রান ১৫ বলে ৯। ২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১০৪।
২৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলকে ৮৪ রানে রেখে আউট হয়েছিলেন মুশফিক।
২০ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১৬৭ রান
টি-টোয়েন্টি ম্যাচের হিসাবে সমীকরণটা একেবারে অসম্ভব নয়। ১২০ বলে দরকার আর ১৬৭ রান। কিন্তু ঝামেলাটা হলো, বাংলাদেশের উইকেট দশটি নয়, আছে আর ৬টি। ক্রিজে এখন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ আছেন, এরপর ব্যাটসম্যান বলতে আছেন শুধু আফিফ ও মিরাজ। বাংলাদেশ পারবে?
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে বাংলাদেশের রান ৩০ ওভারে ৪ উইকেটে ১২০। মোসাদ্দেক ফিফটির পথে এগোচ্ছেন, ৬৫ বলে তাঁর রান ৪৮। অন্য প্রান্তে মাহমুদউল্লাহর রান ২৩ বলে ১৬।
মোসাদ্দেকের ফিফটি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে প্রথম কোনো শিরোপা এনে দেওয়া ম্যালাহাইডের সেই ইনিংসের পর ওয়ানডেতে আবার ফিফটি পেলেন মোসাদ্দেক। বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১২৩ রান। ৬৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ফিফটি পেয়েছেন মোসাদ্দেক।
ফিফটির পরই আউট মোসাদ্দেক
পঞ্চাশ পেরোতেই শেষ মোসাদ্দেক। রমেশ মেন্ডিসকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে আউট মোসাদ্দেক। ৭২ বলে ৫১ রান করে ফিরলেন এই অলরাউন্ডার। ১২৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৬ রান। আফিফ অপরাজিত ১৩ রানে, মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২৬ রান।
৮৪ বলে ১৩৪ রান দরকার। ওভারপ্রতি প্রায় ১০ রান দরকার বাংলাদেশের।
বেঁচে গেলেন মাহমুদউলাহ
দুষ্মন্ত চামিরা আবার আঘাত হেনেছিলেন প্রায়। নতুন স্পেলের প্রথম বলটাই মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগেছে। আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেনি। আম্পায়ারস কল! অর্থাৎ আম্পায়ার আউট দিলে ফিরে যেতে হতো মাহমুদউল্লাহকে। ওদিকে আম্পায়ারস কল হওয়ায় রিভিউ নষ্ট হয়নি লঙ্কানদের।
১৬ রান করেই থামলেন আফিফ
১৫৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৩৩ রানের জুটিতে ১৬ রানের অবদানের পরই থেমে গেলেন আফিফ হোসেন। ৭৬ বলে ১২৯ রান দরকার বাংলাদেশের।
৪ বল খেলে ০ রানে ফিরলেন মিরাজ
সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪ রান ওঠার পরই থামল সে জুটি। চামিরার চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরলেন পুল করতে যাওয়া মিরাজ।
চামিরার ৫ উইকেট
তাসকিনকেও (০) ফেরালেন চামিরা। তাসকিনের স্টাম্প উড়িয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। ৮ ওভার শেষে ১৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন দুষ্মন্ত চামিরা। চামিন্ডা ভাসের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কান কোনো পেসারের এটাই সেরা বোলিং।
চামিরার কীর্তি
বাংলাদেশের বিপক্ষে চামিরার আগে শ্রীলঙ্কার মাত্র দুজন বোলার ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। চামিন্দা ভাস ও মুত্তিয়া মুরালিধরন। গত ১৩ বছরে এ দুজনের পাশে বসতে পারেননি কেউ।
ছক্কা!
ওয়ানডেতে নিজের প্রথম রান ছক্কা মেরে নিলেন শরীফুল ইসলাম। হাসারাঙ্গাকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মেরেছেন এই বাঁহাতি।
৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১৭১/৮
শেষ ১০ ওভারে ১১৬ রান দরকার বাংলাদেশের। হাতে আছে ২ উইকেট। ক্রিকেটের গৌরবময় অনিশ্চয়তার কথা বলেও এ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
শরীফুলের বিদায়
৮ রান করে বিদায় নিলেন শরীফুল। বাংলাদেশ ১৮১/৯
প্রথমে ভাবা হয়েছিল স্টাম্পড হয়েছেন শরীফুল। কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে নিরোশান ডিকভেলা স্টাম্প ভাঙার আগেই আউট হয়েছেন শরীফুল। রিপ্লেতে দেখা গেছে বল শরীফুলের ব্যাট ছুঁয়ে ডিকভেলার গ্লাভসে গিয়েছিল।
মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
সিরিজে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ২৫তম ওয়ানডে ফিফটি পেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৬২ বলে ফিফটি করার পথে দুই চার ও এক ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটসম্যান।
ফিফটির পরের বলেই আউট মাহমুদউল্লাহ
৬৩ বলে ৫৩ রান করেই থেমে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের ৪৫ বল বাকি থাকতে অলআউট বাংলাদেশ। ১৮৯ রানে গুটিয়ে ৯৭ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করা হলো না বাংলাদেশের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্বাগতিকদের।
শেষটা সুন্দর হলো না বাংলাদেশের
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জেতা বাংলাদেশ সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রাধান্য ধরে রাখতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে বোলাররা আগের দুই ম্যাচের ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। শুধু তাসকিন আহমেদই আলো ছড়িয়েছেন। স্পিনারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য পাননি তিনি। শ্রীলঙ্কাও ২৮৬ রান তুলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল।
সে চ্যালেঞ্জের জবাব বাংলাদেশ দিতে পারবে-সেটা কখনোই মনে হয়নি। টানা ব্যর্থতার দায় নিয়ে একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছেন লিটন দাস। পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম (১)। দ্বিতীয় ওভারে পাওয়া ধাক্কা একটু পরই দ্বিগুন করে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (৪)।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তামিমকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন দারুণ বল করা দুশ্মন্ত চামিরা। বাংলাদেশের প্রথম তিন উইকেটই নিয়েছেন এই পেসার। এই ধাক্কা আর সামলানো সম্ভব হয়নি। দলকে প্রথম দুই ম্যাচ জেতানো মুশফিক (৫৪ বলে ২৮) ধীরে শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। পাঁচ ও ছয়ে নামা মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ ফিফটি পেয়েছেন বটে কিন্তু দলকে কখনোই জয়ের আশা দেখাতে পারেননি।
৯ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়ে ম্যাচের গতিরূপ ঠিক করে দিয়েছেন চামিরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কান কোনো বোলারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং এটি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা পেয়েছেন ২ উইকেট। দুই অভিষিক্ত রমেশ মেন্ডিস (২) ও বিনুরা ফার্নান্দো (১) নিয়েছেন বাকি উইকেটগুলো।