ধোনি ও রিয়াজকে অভিনন্দন

কিউই কণ্ঠ
কিউই কণ্ঠ

বিশ্বকাপ এখন চার দলের। চারটি দলই আছে ফর্মের তুঙ্গে। তাই সেমিফাইনালের লড়াই দেখার জন্য তর সইছে না আমার। একতরফা কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনাল দুটি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে জমাট লড়াইয়ের। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হবে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। এসসিজির এই ম্যাচটা কারা জিতবে বলা মুশকিল। একই কথা খাটে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ক্ষেত্রেও।
ভারত যেভাবে এই পর্যন্ত এল আমি সেটাকে স্বপ্নযাত্রাই বলব। ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের কাছে নাকাল হওয়া দলটিই বিশ্বকাপে এসে বদলে গেল। আর সেই ইংল্যান্ড বাদ পড়ে গেল কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই। ভারতীয় দলটির মূল শক্তি ব্যাটিং হলেও এবার বোলিং-ফিল্ডিংয়েও রাতারাতি উন্নতি হয়েছে। আমি বলব অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ছোঁয়াতেই বদলে গেছে ভারত। দলটির সাফল্যে তার ব্যক্তিগত অবদান কম নয়। দলকে ১০০ ওয়ানডে জয়ে নেতৃত্ব দেওয়াটা দারুণ এক অর্জন।
সবকিছু সহজভাবে করা ও কোনো কিছুকে জটিল করে না তোলাই ধোনির সাফল্যের রহস্য। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া এই ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় অর্জন ২০১১ সালে নিজের দেশে বিশ্বকাপ জেতা। এবারও কি সে ট্রফিটা হাতে তুলতে পারবে?
প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু অ্যাডিলেড ওভাল থেকে তারাও মনে রাখার মতো স্মৃতি নিয়ে ফিরেছে। ব্যাটিংটা বরাবরের মতোই বাজে হয়েছে তাদের। ২১৩ রান ধরে রাখা খুব কঠিন কাজ। পাকিস্তান পারেওনি, হেরে গেছে অনেক ওভার হাতে রেখেই। অনেকের চোখেই ম্যাচটা ছিল একতরফা। কিন্তু এমন ম্যাচেও নাটক কম হয়নি। ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে শেন ওয়াটসনের লড়াইটাই যেমন। ব্যাট-বলের কী লড়াইটাই না হলো! অনেক দিনই মনে রাখার মতো ঘটনা এটি।
রিয়াজের বলে গতি ছিল, ছিল আগ্রাসন। সে চারটি ওভার ধরে ওয়াটসনের শরীরের ওপরের অংশ লক্ষ্য করে জোরের সঙ্গে বল করেছে। ওয়াটসনকে বাঁচার জন্য সংগ্রামই করতে হয়েছে। কয়েকটা বল তো তার গ্লাভস ও শরীরে লাগলও। সর্বোচ্চ মানের ফাস্ট বোলিংয়ের উদাহরণ রেখেছে রিয়াজ। এই বিশ্বকাপের সেরা ফাস্ট বোলিং পারফরম্যান্স এটি। আরও কয়েকটি উইকেট সে পেতে পারত। ফাইন লেগে রাহাত আলী যে ক্যাচটা ছাড়ল সেটা সারা জীবন পাকিস্তানকে তাড়া করে ফিরবে। অল্প রানের ম্যাচে বড় এই ভুলের জন্য মূল্যটাও বড় দিতে হয়। (হক-আই)