ধোনি-রায়নাদের কী হবে?
প্রশ্নটা গুরুতর। দল নিষিদ্ধ হয়েছে, এখন খেলোয়াড়দের কী হবে? যেনতেন খেলোয়াড়ও নন, নামগুলো যথেষ্ট ওজনদার—মহেন্দ্র সিং ধোনি, সুরেশ রায়না, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, অজিঙ্কা রাহানে...। ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস ২০১৮ পর্যন্ত নিষিদ্ধ। পেছনের আসরগুলোয় এ দুটি দলের জার্সিতে মাঠ মাতানো ধোনি-রায়নাদের ভবিষ্যৎ তবে কী হবে?
খেলোয়াড়েরা যাতে অবিচারের শিকার না হন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কিছু উপায় বের করছে। ফ্রাঞ্চাইজিগুলো দুই দলের শীর্ষ পাঁচ খেলোয়াড় যেমন—ধোনি, রায়না, অশ্বিন, রাহানাদের ‘ড্রাফট সিস্টেমে’ ফেলে দিচ্ছে। এ খেলোয়াড়েরা নিলামে উঠবেন না। এখানে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। দেখা গেল ধোনিকে একইসঙ্গে চাইছে নতুন দুটি দল। সে ক্ষেত্রেও উপায় বের করছে বিসিসিআই। আর বাকি যে খেলোয়াড়েরা থাকবেন, ফ্রাঞ্চাইজিগুলো তাঁদের নেবে নিলামের মাধ্যমে।
বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্তাদের কেউ কেউ মনে করেন, চেন্নাই-রাজস্থানের জায়গায় আসা নতুন দুটি দলের মুনাফার নিশ্চয়তা কমপক্ষে ১০ কোটি রুপি দিলে নতুন দুটি দলের জন্য আকর্ষণ বাড়বে।
প্রশ্ন আরও একটি রয়েছে। ২০১৮ সালে যখন চেন্নাই-রাজস্থানের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে, তখন কি আইপিএল ১০ দলের হবে? শশাঙ্ক মনোহর অবশ্য ১০ দলের পক্ষপাতী নন। বিসিসিআই সভাপতি বললেন, ‘সম্ভাবনার বিচারে আট দলই থাকতে পারে।’ তা-ই যদি হয়, সমস্যা আছে এখানেও। আপাতত সমাধান হলেও, চেন্নাই-রাজস্থানের নামি-দামি খেলোয়াড়দের তখন কী হবে? সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।