ধোনি যে এত ভালো অধিনায়ক হবেন, তাঁরা কেউই ভাবেননি

লম্বা চুলের এই ছেলেটিই যে এক সময় ভারতের সেরা অধিনায়কদের একজন হবেন, এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।
ফাইল ছবি

শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড়, জাভাগাল শ্রীনাথদের যুগ তখন আস্তে আস্তে শেষের দিকে। নতুন দিনের জয়গান গাইতে এর মধ্যেই দলে চলে এসেছিলেন বীরেন্দর শেবাগ, যুবরাজ সিং, মোহাম্মদ কাইফ, জহির খান কিংবা হরভজন সিংয়ের মতো তারকারা। সৌরভের হাত থেকে নেতৃত্বের ব্যাটনটা এদের কারও হাতে উঠবে বলেই ভেবেছিলেন সবাই। কিন্তু ঝাড়খন্ড থেকে হুট করে ধেয়ে আসা এক ধোনি-ঝড়ে উল্টেপাল্টে গেল সব!

জাতীয় দলে ধোনির চেয়ে যুবরাজ, জহির, কাইফ, হরভজন, শেবাগ—সবাই ‘সিনিয়র’। কিন্তু বোর্ডের সিদ্ধান্তে সিনিয়রদেরই খেলতে হয়েছে ধোনির অধিনায়কত্বে। কে ভেবেছিলেন, এমন হবে? সম্পূরক প্রশ্ন হিসেবে এটাও করা যায়, কে ভেবেছিলেন, এত সফল হবেন ধোনি? সমর্থকেরা তো বটেই, দলের অনেক সিনিয়রই ভাবেননি, ধোনির অধীন ভারত এত ভালো করবে! স্টার স্পোর্টসের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘ক্রিকেট কানেক্টেড শো’–তে এসে সেসব দিনের কথা মনে করেছেন কাইফ, ‘ওই সময়ে আমরা যারা যারা খেলতাম—আমি, যুবরাজ, শেবাগ, হরভজন, জহির; কেউই ভাবিনি ধোনি যে এত ভালো অধিনায়ক হবে ভারতীয় জাতীয় দলের জন্য। ও আমাদের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।’

সেই ধোনিই অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে দুটি বিশ্বকাপ জেতালেন। জেতালেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। টেস্টে নিয়ে গেলেন শীর্ষে।
ছবি: এএফপি

ধোনিকে প্রথম যখন দেখলেন, তখন কী মনে হয়েছিল কাইফের? অনুষ্ঠানে সেটাও জানিয়েছেন সাবেক এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, ‘লক্ষ্ণৌতে আমার এক বন্ধু ছিল। সে একদিন এসে আমাকে বলল, কাইফ, একটা খেলোয়াড় আছে। ওর খেলা দেখ। ছেলেটার লম্বা লম্বা চুল আছে আর ওর মতো জোরে আমি আর কাউকে ছক্কা মারতে দেখিনি! এরপর দুলীপ ট্রফির এক ম্যাচে আমি মধ্যাঞ্চলের হয়ে অধিনায়কত্ব করছিলাম। ও খেলছিল পূর্বাঞ্চলের হয়ে। ও অধিনায়ক ছিল না। আমি আমার দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম। ও ওই দলের উইকেটরক্ষক ছিল। তত দিনে ভারত “এ” দলের হয়ে ও সফর করে এসেছে।’

অবশ্য কাইফদের দোষও দেওয়া যায় না। সকাল যেমন সব সময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না, ধোনির ক্যারিয়ারের শুরুটাও আশাজাগানিয়া ছিল না মোটেও। বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন ধোনি, রানআউট হয়েছিলেন।

প্রথম ম্যাচে শূন্য হাতে ফেরা সে তারকাই পরে দেশের দুই হাত ভরিয়ে দিয়েছেন কানায় কানায়!