না খেলেও নাজমুলের কাছে হারলেন তামিম

দলের নাম ‘তামিম একাদশ’। কিন্তু উরুর চোটের কারণে তামিমই খেলতে পারলেন না ম্যাচটা! কুইন্সটাউনের জন ডেভিস ওভালে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে আজ নাজমুল একাদশের কাছে তামিম একাদশ হেরে গেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

প্রস্তুতি ম্যাচের মূল উদ্দেশ্য ছিল ম্যাচ খেলার অনুশীলন। ক্রাইস্টাচার্চ–কুইন্সটাউন মিলিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাটিং–বোলিংয়ের যে অনুশীলন হলো, সেসব ম্যাচে প্রয়োগ করে দেখা। তো সেই কাজ একেবারে খারাপ হয়নি। ব্যাটসম্যানরা কেউ ইনিংস বড় করতে না পারলেও শুরুটা ভালো করেছেন অনেকেই। ৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল নাজমুল একাদশের রুবেল হোসেন। তামিম একাদশের ২৩৩ রান করতে হারানো ৫ উইকেটের অন্যটি নেন সাইফউদ্দিন। ৪৬.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে যাওয়া নাজমুল একাদশের একমাত্র উইকেটটি নেন আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।

অপরাজিত ৬৬ রান করে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তামিম একাদশের মোহাম্মদ মিঠুন। ফিফটি করেছেন নাজমুল একাদশের লিটন (৫৯, অবসর), মুশফিকুর রহিম (অপরাজিত ৫৪), মেহেদী হাসান মিরাজ (৫০, অবসর)।

মিরাজ ভেট্টরিরর কাছে বলের ভ্যারিয়েশন শিখছেন।
ছবি: প্রথম আলো

বল হাতে রুবেলের সাফল্যের একটা সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় ম্যাচ শেষে মিরাজের কথায়, ‘সকালের আবহাওয়া বোলারদের সাহায্য করেছে। একটু মেঘলা আবহাওয়া ছিল। বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। আমাদের বোলাররা খুব ভালো জায়গায় বলও ফেলেছে। রুবেল ভাই খুব ভালো লাইন ও লেংথে বল করেছেন।’

স্পিনারদের মধ্যে নিজের কথাটা একটু আলাদা করেই বলেছেন মিরাজ, ‘আমি ভেট্টোরির সঙ্গে তো এক সপ্তাহ কিছু ভেরিয়েশন নিয়ে কাজ করছিলাম। এখানে ভেরিয়েশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উনি আমাকে দু-একটা পরামর্শ দিয়েছেন কীভাবে করলে ভালো হবে, সেটা আমি হয়তো ম্যাচে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’

ক্রাইস্টচার্চে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সাত দিনের অনুশীলনের পর কুইন্সটাউনেও এক সপ্তাহ হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের। এই পুরো সময়ের প্রস্তুতিটা বেশ ভালো হয়েছে বলেই মনে করেন মিরাজ, ‘ম্যাচ খেলার পর সবারই খুব ভালো লাগছে। বোলাররা খুব ভালো জায়গায় বল করছে। ব্যাটসম্যানরা খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করছে। এই প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলায় আমাদের জন্য খুব ভালো হলো।’