নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন পেসারদের জন্য কঠিন

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন মাশরাফি।
ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। খেলেছিলেনও ভালো। কিন্তু ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওয়ানডের প্রাথমিক দলেও রাখা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। মাশরাফি যে বিসিবির ভবিষ্যৎ ভাবনায় নেই, সেটি স্পষ্ট হয়ে যায় তখনই। নিজেকে নতুন করে চেনাতে মাশরাফি তাই এখন তাকিয়ে আছেন প্রিমিয়ার ক্রিকেটের দিকে।

আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে মুজিব বর্ষ অমর একুশে টুর্নামেন্ট ২০২১–এর ফাইনাল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে মাশরাফি বলছিলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট তো খেলছিই। করোনার জন্য যেহেতু খেলাধুলা হচ্ছে না, আমার মনে হয় না কারও কাছেই কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে দেখেন, নিজের মতো করেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হবে, তারপর দেখা যাক কী হয়।’

জাতীয় দলে না থাকলেও সাবেক অধিনায়ক মাশরাফিকে সামনে পেলে জাতীয় দলের প্রসঙ্গ চলেই আসে। নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ বাংলাদেশ গিয়েছিল মাশরাফির নেতৃত্বেই। এবার তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সফরে বাংলাদেশ দল গেছে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে।

নিউজিল্যান্ড সফরে ২০ জনের বাংলাদেশ স্কোয়াডে পেসার আছেন ৭ জন। পেসারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম একদমই নতুন। তাঁদের নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের কঠিন বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফি, ‘ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে সবাই বলে যে উইকেট সিমিং কন্ডিশন। কিন্তু আসলে সেটাও ২০ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এখন তো ফ্ল্যাট উইকেট। বাংলাদেশে ২৫০ রান করা কঠিন হয়। ওখানে ৩০০-৩৫০ রানও তাড়া করে ফেলে। পেসারদের জন্য সেটা আরও কঠিন।’

জাতীয় দলে আর দেখা যাবে মাশরাফিকে?
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরটি যে তামিমের জন্য সহজ হবে না, সেটি আঁচ করতে পারছেন তাঁর পূর্বসুরি মাশরাফিও, ‘আমরা সবাই জানি, নিউজিল্যান্ডে খেলা খুব কঠিন। সঙ্গে সাকিবও নেই। কিন্তু যাওয়ার আগে ওরা যেভাবে কথা বলেছে, সেটা খুবই ইতিবাচক লেগেছে। আমার বিশ্বাস, ইনশা আল্লাহ ভালো করবে।’

তবে নিউজিল্যান্ডে ভালো ফলাফল পেতে দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ কমানো উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক, ‘দলকে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া উচিত হবে না। আমরা সবাই জানি, সেখানে কন্ডিশন কঠিন। আমরা যদি এখান থেকে ভালোভাবে সমর্থন দিই, চাপটা থেকে যদি ওদের মুক্ত করে দিই, তাহলে আমি নিশ্চিত যে তারা ভালো খেলতে পারবে।’