নিজেকে 'অতটা' সাহসী ভাবেন না কুক

ভারতকে সামান্যতম সুযোগই দিতে চাননি কুক। ছবি: রয়টার্স।
ভারতকে সামান্যতম সুযোগই দিতে চাননি কুক। ছবি: রয়টার্স।

ইনিংস ঘোষণাটা একটু দেরিতেই দিয়ে ফেলেছিলেন অ্যালিস্টার কুক? রাজকোট টেস্টে জয়ের জন্য ৪৯ ওভারে ৩১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত যখন একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল, এই প্রশ্নটা তখন ঘুরে ফিরছিল অনেক ইংল্যান্ড-সমর্থকের মনেই। ২৫০-২৬০ লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে কুক যদি ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাতেন, তখন গল্পটা হয়তো অন্য রকম হতে পারত বলেই অনেকের ধারণা।

ইংলিশ অধিনায়ক অবশ্য ব্যাপারটাকে এভাবে দেখেন না। তাঁর মতে, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান করে ইংল্যান্ডের ইনিংস ঘোষণায় কোনো ভুল নেই। বরং অনেক ভেবেচিন্তেই ইনিংসটা ঘোষণা করেছেন তিনি। কুক অবশ্য স্বীকার করেছেন, এ ক্ষেত্রে খুব সাহস তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি ভারতকে সামান্যতম সুযোগ দিতে চাননি বলেই দ্রুত ইনিংস ঘোষণা করেননি।

ইনিংস ঘোষণা নিয়ে কুকের মন্তব্য, ‘আমরা ভারতকে সামান্যতম সুযোগও দিতে চাইনি। একই উইকেটে আমরা কিন্তু বিনা উইকেটে ১৮০ রান করেছি। রাজকোটের উইকেট পঞ্চম দিনে কিন্তু খুব একটা বাজে চেহারা ধারণ করেনি। বেশি সাহসী কেউ হয়তো ভারতকে ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে পাঠাত। তবে আমি মনে করি, ইনিংস ঘোষণার সময়টা ঠিকই ছিল। বিশেষ করে সিরিজের প্রথম টেস্ট হিসেবে সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল।’

রাজকোট টেস্টে চারজন ইংলিশ ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেয়েছেন। কুক পেয়েছেন নিজের ৩০তম টেস্ট সেঞ্চুরি। বোলাররাও খুব খারাপ করেননি। ইংলিশ স্পিনাররা তো একধরনের সাবধান বাণীই শুনিয়েছে ভারতকে। কুকের মতে, রাজকোট অভিযান গর্ব করার মতোই, ‘দারুণ পাঁচটা দিন কাটালাম আমরা। আমরা সবকিছুই করেছি। হতাশার বিষয় হলো সর্বোচ্চটা দিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে না পারাটা। তবে আমরা টেস্টটা দুর্দান্ত খেলেছি। আমাদের পারফরম্যান্স গর্ব করার মতোই।’

টেস্টটা ড্র করে খুশি কুক। খুশি তিনি তো হবেনই। বাংলাদেশের কাছে টেস্ট হারের পর যে ব্যাপারটায় ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, সেটিই যে পেয়ে গেলেন এই টেস্টে। সেটি হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরের টেস্ট ম্যাচটা শুরু করতে পারাই যে এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের কাছে জয়ের মতো। সূত্র: মেইল অনলাইন।