আইসিসিকে আবারও নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনতে বলছেন সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ডারবান টেস্ট চলার সময় এমন টুইট করেছেন পারিবারিক কারণে এ ম্যাচে না থাকা অলরাউন্ডার।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ডিন এলগারের এলবিডব্লুর আউট পর্যন্ত ডারবানে রিভিউয়ের পর সাতটি সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে অন-ফিল্ডের দুই আম্পায়ারকে। বিপরীতে ব্যর্থ হয়েছে দুই দলের নেওয়া ১০টি রিভিউ, এর মধ্যে চারটিতে ছিল আম্পায়ারস কল।
অবশ্য ‘ক্লোজ কল’-এর বেশিরভাগই বিপক্ষে গেছে বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৪তম ওভার পর্যন্ত এলবিডব্লিউর রিভিউয়ে চারটি আম্পায়ারস কল হয়েছে, এর তিনটিই বিপক্ষে গেছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেটের দুইটিই বাংলাদেশ পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, তবে রিভিউ নিলে বাংলাদেশ পেতে পারত অন্তত আরেকটি উইকেট।
সর্বশেষ ডিন এলগারের উইকেটটি বাংলাদেশে পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, তাঁর বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ার পর। অবশ্য এ ক্ষেত্রে দুইটি শব্দ শোনা গিয়েছিল, যদিও আল্ট্রা-এজে ব্যাটে লাগার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এলগারের উইকেটের পরপরই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সাকিব লিখেছেন, ‘বেশিরভাগ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশেই করোনা পরিস্থিতির অবস্থা ঠিকঠাক বলে আমার মনে হয়, আইসিসির নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনা উচিৎ এখন।’
করোনাভাইরাস মহামারির আগে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করা দুজন অন-ফিল্ড আম্পায়ারই থাকতেন নিরপেক্ষ দেশের, ওয়ানডেতে যে সংখ্যা ছিল এক। তবে করোনার কারণে সে নিয়ম শিথিল করে স্থানীয় আম্পায়ারদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করানো শুরু করে আইসিসি। অবশ্য বাংলাদেশের মতো যে সব দেশে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার নেই, সেখানে সাধারণত একজন নিরপেক্ষ আম্পায়ার দায়িত্ব পালন করেছেন এ সময়ে।
ডারবান টেস্টে অন-ফিল্ড দায়িত্ব পালন করছেন মারাই এরাসমাস ও আড্রিয়ান হোল্ডস্টক। এঁদের মাঝে এরাসমাস আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার, অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে এটি তাঁর ৭১তম টেস্ট। গত বছর আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার ডেভিড শেফার্ড ট্রফিও জিতেছিলেন এরাসমাস। ডারবান টেস্টে যে সাতটি সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের, পাঁচটিই দিয়েছিলেন এরাসমাস। হোল্ডস্টকের এটি সপ্তম টেস্ট।