নিয়মিত মুমিনুলের 'ঝাড়ি' খান তামিম

মুমিনুলের কাছ থেকে ভালোই ঝাড়ি খান তামিম ইকবাল। ছবি: প্রথম আলো
মুমিনুলের কাছ থেকে ভালোই ঝাড়ি খান তামিম ইকবাল। ছবি: প্রথম আলো
>টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক নাকি দরকার হলে দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বকাঝকা করেন।

টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিয়ে কাল ফেসবুক লাইভে খুনসুটিতে মেতেছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমের অভিযোগ, অধিনায়ক হওয়ার পর নাকি মুমিনুলের বকাঝকা থেকে কেউই ছাড় পান না। এমনকি সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও মুমিনুলের বকা খেতে হয়। তবে মুমিনুল জানিয়েছেন, অন্য সিনিয়রদের নয়, তামিমই নিয়মিত বকা খান তাঁর কাছে।

কাল তামিমের ফেসবুক লাইভে সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মুমিনুল প্রাণবন্ত আড্ডায় মাতেন। পরে যোগ দেন তাইজুল ইসলাম। আড্ডায় এক ফাঁকে মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা উঠে। তখনই প্রসঙ্গক্রমে আসে মুমিনুলের অধিনায়কত্ব।

দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর মুমিনুল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, মাঠে এখন সবাইকে ঝাড়ি মারেন তিনি। কাল তামিম মুমিনুলের সেই সংবাদ সম্মেলনের কথা মনে করি দিয়ে বলেন, 'তুই যেভাবে নিজের নেতৃত্ব দেখাচ্ছিস, মাঝে মাঝে এক-দুইটা ঝাড়ি আমাদেরও দিয়ে ফেলিস। নেতৃত্ব উপভোগ করছিস, ভালো, উপভোগ কর। কিন্তু ঝাড়ি টারি কম দিস ভাই, বয়সে তো আমি তোর বড় (হাসি)।' মুমিনুলও মজার ছলে বলেন, 'একমাত্র ঝাড়ি কিন্তু আপনাকেই মারি। এটা নির্ভর করে, যখন কোনো বাজে শট খেলেন, তখন মারি।'

বাংলাদেশে সাধারণত ওয়ানডে ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বড় টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংস্কৃতি টেস্ট নির্ভর। টেস্ট অধিনায়কের সম্মান সবসময়ই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশেও তাই হওয়া উচিত বলে মনে করেন সবাই। তামিমও এর বাইরে নন। কাল টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের দায়িত্বকে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হিসেবে আখ্যা দেন তামিম। মুমিনুলের কাছে তামিম জানতে চান, 'মুমিনুল, তোর কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। তিন সংস্করণে তিন অধিনায়ক বাংলাদেশে। তবে সবচেয়ে বড় খেলা টেস্ট ক্রিকেট। সবচেয়ে সম্মানের খেলা টেস্ট ক্রিকেট। টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার চেয়ে বেশি সম্মানের কিছু আছে কিনা ক্রিকেটে আমি জানি না। আমার মনে হয় তুই একদম আদর্শ ব্যক্তি, টেস্ট দলটার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। আমাদের টেস্টে ফলাফল ভালো না হলেও দলকে কিভাবে উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা করিস?'

মুমিনুল উত্তরে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার ও তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের প্রশংসা করেছেন, 'আমি যখন অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পাই, আমার মনে হয়েছিল অধিনায়কত্ব করার এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ, আমার কাছে তখন চার জন খেলোয়াড় ছিল, যারা প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছে। তারপর তিন-চার জন জুনিয়র খেলোয়াড় বর্তমানে খুব ভালো অবস্থায় আছে। পেসার আছে, ভালো ভালো স্পিনার আছে। আমি চিন্তা করলাম, আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ নয়, এটা ভালো সুযোগ হবে। টেস্টে দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা ভালো একটা সুযোগ এটা।'