পাকিস্তান দলে বিভেদ সৃষ্টির জন্য বোর্ডকে দায়ী করলেন ইনজামাম

পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হক।
ছবি: টুইটার

নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেট ফিরলে ডিসেম্বরে সেখানে খেলতে যাওয়ার কথা পাকিস্তানের। এখনও হাতে মাস দু-এক সময় আছে আজহার আলীদের। নিউজিল্যান্ড সফর উপলক্ষে দলও চূড়ান্ত করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অথচ আজহার আলীর টেস্ট অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই প্রশ্ন তুলেছেন পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান। আর এসব বিষয়ে বেশ বিরক্ত ইনজামাম উল হক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের মনে হয়েছে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেই এমন বক্তব্য পিসিবির এই কর্মকর্তার।

গত বছর অক্টোবরে আজহার টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সরফরাজ আহমেদের কাছ থেকে। আজহারের নেতৃত্বে খারাপ করেনি পাকিস্তান। ওই সময়ের আট টেস্টের মধ্যে দুটি জিতেছে পাকিস্তান। ড্র করেছে তিনটি ম্যাচ। হারও তিনটি। কিন্তু এক বছরের মাথায় নতুন অধিনায়ক কাকে দেওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। কিছুদিন আগে ওয়াসিম খান বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সফরের আগে আজহারের অধিনায়কত্ব পর্যালোচনা করে দেখা হবে।’ কিন্তু কিছুদিন পরই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ শুরু হবে পাকিস্তানের। অন্তত এই সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল পিসিবির, এমনটাই মনে করেন ইনজামাম।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বলেছেন, ‘পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে এখন নতুন একটা বিতর্ক শুরু হয়েছে। পিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্ট দল ঘোষণার আগে আজহার আলীর অধিনায়কত্ব পর্যালোচনা করা হবে। এই ধরনের বক্তব্য দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে।’

শুধু তাই নয় অধিনায়কের দায়িত্ব পেতে অনেকে তদবির শুরু করতে পারেন বলে মনে হয়েছে ইনজামামের, ‘এই পদের সম্ভাবনায় থাকা যে কোনো ক্রিকেটার নিজের জন্য তদবিরের চেষ্টা করবে যা দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নষ্ট করবে। যদি অধিনায়ক পরিবর্তন করাই হয় তাহলে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর করা উচিত। মিডিয়ায় এসব গাল গল্প বলার কোনো অর্থই নেই। পিসিবিই এসব তথ্য বাইরে ফাঁস করে। এসব করে হয়তো পিসিবি মিডিয়া ও জনসাধারণের আবেগ বোঝার চেষ্টা করে। কিন্তু এসব দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’

পিসিবির সমালোচনায় ইনজামাম উল হক।
ছবি : টুইটার

আজহার আলী অধিনায়ক হওয়ার পর একবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ওই সময় তিনি পাকিস্তানের ঘরোয়া কাঠামো বদল করার বিষয়ে কথা বলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের সঙ্গে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, পিসিবিকে না জানিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন আজহার। এটা নিয়ে বেশ নাখোশ হন পিসিবির কর্মকর্তারা। আর এটাই আজহার আলীকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।