পাকিস্তান মাঠে তো খাতির করল না, বাংলাদেশ কোচের রসিকতা

>
দলের পারফরম্যান্সে হতাশ রাসেল ডমিঙ্গো। ছবি: প্রথম আলো
দলের পারফরম্যান্সে হতাশ রাসেল ডমিঙ্গো। ছবি: প্রথম আলো

মাঠের বাইরে বেশ আতিথেয়তা দিলেও মাঠের খেলায় বাংলাদেশকে কোনো খাতির করেনি পাকিস্তান।

পাকিস্তানে গেলে বাংলাদেশ যে ভালো আতিথেয়তা পাবে, সফরের আগে সেটি পাকিস্তানিরা বারবার বলেছে। লাহোর বিমানবন্দর থেকেই মাহমুদউল্লাহরা সেটি পেয়েছেনও। অবশ্য কড়া নিরাপত্তার মাঝে এ আতিথেয়তা উপভোগ করার সুযোগ কম। তবুও পাকিস্তান যেভাবে বাংলাদেশ দলকে ‘খাতির’ করছে, সেটি অবশ্যই প্রশংসা করার মতো।

মাঠের বাইরে আতিথেয়তায় কমতি না থাকলেও মাঠে দেখা যাচ্ছে বিপরীত ছবি। পাকিস্তান টানা হারিয়ে চলেছে বাংলাদেশকে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-কোনো বিভাগেই লড়াই জমিয়ে তুলতে পারছে না বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান। এই যখন অবস্থা, রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে যদি জানতে চাওয়া হয় পাকিস্তানের আতিথেয়তা কেমন লাগছে, কী উত্তর দেবেন তিনি? বাংলাদেশ কোচের উত্তরটা হলে বেশ সরস, ‘আমরা খুব বাজে আতিথেয়তা পেয়েছি! সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছি। যদি দুই ম্যাচ জিততাম তাহলে না হয় বলা যেত মাঠেও ওরা অনেক খাতির করেছে!’

রসিকতা ছেড়ে ডমিঙ্গো অবশ্য প্রশংসা করলেন আয়োজকদের, ‘এর চেয়ে বেশি আশা করা যায় না। এটা ঠিক, মাঠের চারপাশে অস্ত্রধারী নিরাপত্তাকর্মীদের দেখাটা একটু ভীতিকর। তবে আমরা ভালো আছি।’

মাঠে পাকিস্তান ‘খাতির’ করবে কীভাবে, স্বাগতিকদের ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ বাংলাদেশই করে দিচ্ছে। ২২ গজে অসহায় আত্মসমার্পণ করছেন ব্যাটসম্যানরা। বোলিংও নখ-দন্তহীন। খেলোয়াড়দের এই পারফরম্যান্স হতাশ করছে ডমিঙ্গোকেও, ‘আজ (কাল) যেভাবে খেললাম হতাশাজনক। ভেবেছিলাম প্রথম ম্যাচের চেয়ে আজ (কাল) বেশি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারব। আবারও বলতে হয় ওরা এই সংস্করণে এক নাম্বার দল। আমরা সেখানে নয়ে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় দুই দলের অনেক পার্থক্য। ওদের ধরতে হলে আমাদের আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’