পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বাংলা শেখাচ্ছেন তামিম

লাহোরকে ভালো শুরু এনে দিচ্ছেন তামিম।
ছবি: টুইটার

লাহোর কালান্দার্সকে পিএসএলের ফাইনালে তুলতে সাহায্য করা ছিল ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের প্রথম কাজ। প্লে-অফের প্রথম দুই ম্যাচে লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। কিন্তু দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন ঠিকই। দলও জিতেছে। জায়গা করে নিয়েছেন পিএসএলের ফাইনালে। বলতেই হয়, বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করেছেন তামিম। এবার বাকি দলকে শিরোপা জেতানো।

এর ফাঁকে তামিম পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বাংলা ভাষাও শেখাচ্ছেন। পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তামিম বলেছেন, ‘আমরা দুই ভাষাতেই কথা বলার চেষ্টা করি। ইংরেজির সঙ্গে কিছু উর্দুও বলার চেষ্টা করি। আমি জানি না কতটা ভালো আমি উর্দুতে। আমিও তাদের কিছু বাংলা শেখানোর চেষ্টা করি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু বাংলা পারেও।’

তামিমকেও সাক্ষাৎকারে উর্দু বলতে বলা হয়। কৌশলে এড়িয়ে যেতে চাইলেও দুই লাইন উর্দু বলতে হয় তামিমকে, ‘আমি উর্দু বলতে পারব না, কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমি কেবল বাংলা অথবা ইংরেজি বলতে পারব। কিন্তু আমি সামান্য কিছু বলতে পারি, আমি হয়তো এক দুইটা শব্দ বলতে পারব।’ এরপর উর্দুতে বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমাদের দলের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন জিততে পারি।’

পাকিস্তান ক্রিকেটের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে তামিমের। পিএসএলে এখন তাঁদের পক্ষে-বিপক্ষে খেলছেন। এদিক থেকে তামিম নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন, ‘এটা আমার সৌভাগ্য যে বেশ কিছু সেরা পাকিস্তানি তারকার সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। নাম ধরে বলতে গেলে শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক; ঢাকা লিগের একটি ম্যাচে মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গেও খেলা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক পাকিস্তানি আছেন। তাঁরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সোনার মতো। তাঁদের সঙ্গে খেলা ও মজা করা দারুণ ব্যাপার।’

আজ ফাইনাল খেলতে নামছেন তামিমরা।
ছবি: টুইটার

পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে আফ্রিদিই তামিমের বেশি ঘনিষ্ঠ। পিএসএলে তামিম প্রথম খেলেছিলেন আফ্রিদির দল পেশোয়ার জালমির হয়ে। তামিমের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বিপিএল জেতাতেও সাহায্য করেছেন আফ্রিদি। তামিম বলছিলেন, ‘তাঁরা সবাই ভালো, মজার লোক। শোয়েব মালিক অনেক মজার মানুষ, শাদাব খানও। শহীদ আফ্রিদি বড় ভাইয়ের মতো। তাঁর সঙ্গে আমরা খুব বেশি মজা করি না। তিনি আমাদের বড় ভাইয়ের মতো। সব সময় আমাকে সমর্থন দেন। আমি যখন পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলেছি প্রথমবার পিএসএলে, তিনি আমার অধিনায়ক ছিলেন। ২০১৮ সালে আমরা বিপিএল শিরোপা জিতেছি, তিনি আমাদের অনেক বড় অংশ ছিলেন। তিনি এমন একজন, যিনি আমাকে এই যাত্রায় সব সময় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’