পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বেতন কাটলেও আপত্তি নেই
নজিরবিহীন অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে গোটা দুনিয়া। করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবন। ঘরবন্দি হয়ে কাটছে মানুষের দিন। অফিস–আদালত বন্ধ, বন্ধ ব্যবসা–বাণিজ্য। খেলার দুনিয়াতেও লক ডাউন। ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস কিছুই এর বাইরে নয়। খেলার দুনিয়ার মানুষেরা কাটাচ্ছেন অলস সময়। কিন্তু এ সময়ের সুদূরপ্রসারী প্রভাবটা এখনই চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে।
খেলাধুলা বন্ধ মানেই এর সঙ্গে জড়িত প্রতিটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান পড়ে যাবে প্রচণ্ড আর্থিক চাপে। ইউরোপের অনেকে দেশে এখনই সেটি বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে। মেসি–রোনালদোরা পর্যন্ত তাঁদের ক্লাবের কাছ থেকে পুরো বেতন পাচ্ছেন না। অনেক ক্লাব ও ক্রীড়া সংস্থায় শুরু হয়ে গেছে ছাঁটাই। এই অবস্থায় পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুত রেখেছেন সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য। টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলী এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাঁর দেশের গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘করোনার কারণে পিসিবি যে আর্থক ক্ষতির মুখে পড়েছে, সেজন্য যদি বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের বেতন কাটা হয়, সেটি খেলোয়াড়েরা মেনে নেবেন।’
সময়টা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন আজহার, ‘সময়টা ভালো না। যদি কোভিড–১৯ এর কারণে এ লকডাউন প্রক্রিয়া আরও দুই–তিন মাস ধরে চলে, তাহলে অবশ্যই সেটি পিসিবির ওপর অর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে। তখন বোর্ড খেলোয়াড়দের বেতন কাটতে পারে।’
তাহলে কী এই সময় ক্রিকেটাররা খুব করে চাচ্ছেন যেন ক্রিকেট মাঠে গড়াক? আজহার অবশ্য সরাসরি তেমনটা বলেননি, ‘পরিস্থিতি বুঝে দর্শকশূন্য অবস্থায় ক্রিকেট অনুষ্ঠানের বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে, কিন্তু সে জন্য অবশ্যই প্রতিটি খেলোয়াড় ও খেলার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নিরাপদ করে নিতে হবে। দুর্ভাগ্যের বিষয় করোনার কারণে ক্রিকেট–ভক্তরা এখন কোনো খেলাই দেখতে পারছেন না। যদি দর্শকশূন্য খেলাও হয়, তাহলে তারা হয়তো অন্তত টেলিভিশনে কিছু খেলা দেখতে পারবেন। তবে আমি আবারও বলছি, সে সময়টা এখনো আসেনি। আর এলেও সেটি করতে হবে সব প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করেই।’