‘পাকিস্তানি’ হলে টেস্ট খেলতে পারতেন না শেবাগ–ওয়ার্নার!

পাকিস্তানি হলে টেস্ট খেলতে পারতেন না ওয়ার্নার!ফাইল ছবি

পাকিস্তানে জন্ম নিলে টেস্ট খেলতে পারতেন না ডেভিড ওয়ার্নার আর বীরেন্দর শেবাগ! এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মাকসুদ। তাঁর এমন মন্তব্যের কারণ, সাবেক ও বর্তমান সময়ের দুই সেরা ব্যাটসম্যানের আক্রমণাত্মক স্বভাব। কথাটা অবশ্য মাকসুদ বলেছেন একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিজের জীবনটাকে উদাহরণ দিয়ে। তাঁর যে টেস্ট খেলা হয়নি। এর কারণ ওই আক্রমণাত্মক স্বভাবই। ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক থাকতেন, দ্রুত রান করতে চাইতেন বলেই পাকিস্তানি নির্বাচকেরা নাকি তাঁকে বেশি সুযোগ দেননি।

পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের যেকোনো বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করার একটা প্রবণতা আছে। মাকসুদের মন্তব্যটা সেভাবেই দেখা উচিত। নয়তো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হয়েও ওয়ার্নার আর শেবাগ টেস্টে যতটা সফল, তাতে উপমা হিসেবেও এমন মন্তব্য আসা উচিত নয়। তবে তিনি হয়তো নিজ দেশের নির্বাচকদের ওপর ক্ষোভ থেকেই এমনটা বলেছেন। ওয়ার্নার আর শেবাগের টেস্ট ক্যারিয়ারকে প্রসঙ্গ ধরলে হয়তো তাঁর মনে হয়, তিনিও তো এভাবেই খেলতেন। সুযোগ পেলে তিনি শেবাগ কিংবা ওয়ার্নার হয়তো হতে পারতেন না, কিন্তু টেস্টে মোটামুটি ভালোই করতেন।

মারকুটে হয়ে্ও ভারতের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান বীরেন্দর শেবাগ
ফাইল ছবি

২০১৬ সালে শেষবার পাকিস্তান দলে খেলেছিলেন এই মাকসুদ। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বয়সটা হয়ে গেছে ৩৪। টেস্ট যে তিনি আর খেলতে পারবেন না, সেটা তিনি ভালোই বোঝেন। তবে পাকিস্তান দলে ফেরার ব্যাপারটি মাথায় রেখেছেন এখনো। নিজের ব্যাটিংয়ের আক্রমণাত্মক ব্যাপারটি আছে বলেই ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে এখনো পাকিস্তানের জার্সি পরার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

ওয়ার্নার আর শেবাগের প্রসঙ্গ এসেছে নিজের দুঃখের কথা বলতে গিয়েই, ‘একটা সময় ছিল যখন পাকিস্তানি নির্বাচকেরা আক্রমণাত্মক আর দ্রুতগতিতে রান করতে পারেন, এমন ব্যাটসম্যানদের টেস্টে বিবেচনাই করতে চাইতেন না। আমার তো মনে হয়, পাকিস্তানে জন্ম নিলে বীরেন্দর শেবাগ কিংবা ডেভিড ওয়ার্নাররা টেস্টই খেলতে পারতেন না।’

মারকুটে শোয়েব মাকসুদের আক্ষেপ টেস্ট খেলতে না পারা।
ফাইল ছবি

পাকিস্তানের হয়ে ২৬টি ওয়ানডে আর ২০টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মাকসুদ। রান করেছেন যথাক্রমে ৭৩৫ ও ২২১। টেস্টে সুযোগ না পাওয়ার দুঃখটা কোনো দিনই যায়নি তাঁর। অথচ যে শেবাগ আর ওয়ার্নারের টেস্ট ক্যারিয়ার আক্রমণাত্মক ও মারকুটে হওয়ার পরও রীতিমতো জ্বলজ্বলে। টেস্টে মেরে খেলেও শেবাগ ১০৪ টেস্টে সাড়ে ৮ হাজারের ওপর রান করেছেন। গড় ৪৯.৩৪। টেস্টে তাঁর দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে। ওয়ার্নার তো ৮৬ টেস্টেই করে ফেলেছেন ৭ হাজার ৩১১ রান। তাঁরও আছে ৩৩৫ রানের এক ইনিংস।