পান্ডিয়া-পোলার্ডে প্লে–অফের আশা বাঁচল মুম্বাইয়ের

দলকে জেতানোর পর কাইরন পোলার্ড (বাঁয়ে) ও হার্দিক পান্ডিয়াছবি: আইপিএল

ম্যাচ জেতা মানেই শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন আরেকটু রঙিন হওয়া। ম্যাচ হারা মানেই প্লে-অফের আগেই বাদ পড়ার শঙ্কা বেড়ে যাওয়া। আইপিএলে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও পাঞ্জাব কিংস—দুই দলের জন্যই সত্যি ছিল ওপরের সমীকরণ।

আবুধাবির সেই ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ১১তম ম্যাচে পাওয়া পঞ্চম জয়ে দলটি প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা একটু বাড়ল। অন্যদিকে সমান ম্যাচে সপ্তম হারের দেখা পাওয়া পাঞ্জাবের জন্য কঠিন হয়ে গেল শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ খেলা। নিজেদের শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলেও অন্য সব ম্যাচের ফলের ওপর তাকিয়ে থাকতে হবে দলটিকে।

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে পাঞ্জাব কিংস ৬ উইকেটে করে ১৩৫ রান। ১৩৬ রানের লক্ষ্য ১ ওভার হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে মুম্বাই।

৩০ বলে ৪০ রান করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া
ছবি: আইপিএল

১৯তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামিকে ছক্কা মেরেই দলকে জিতিয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। ছক্কা নয়, ভারতীয় অলরাউন্ডার আউট হতে পারতেন বলটায়। লং অনে দীপক হুদা সহজ ক্যাচটি ছেড়ে উল্টো ছক্কা বানিয়ে দিলেন।

৩০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন পান্ডিয়া। অন্য পাশে কাইরন পোলার্ড অপরাজিত ছিলেন ৭ বলে ১৫ রান করে। মুম্বাই ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ৯২ রানে চতুর্থ উইকেট খোয়ানোর পর জুটি বাঁধেন দুজন। সেই সময়ে ২৯ বলে ৪৪ রানের সমীকরণ ছিল তাঁদের সামনে।

এর আগে পাঞ্জাবের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪২ রান এইডেন মার্করামের। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ২৯ বলের ইনিংসটা সাজান ৬টি চারে। মার্করাম উইকেটে আসেন সপ্তম ওভারে পাঞ্জাব দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর। ওই ওভারেই অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে ৩ উইকেটে ৪১ হয়ে যায় পাঞ্জাবের স্কোর।

লোকেশ রাহুলকে আউট করে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে ৩০০তম উইকেট পাওয়ার পর কাইরন পোলার্ড
ছবি: আইপিএল

২২ বলে ২১ রান করা রাহুলকে শর্ট ফাইন লেগে যশপ্রীত বুমরার ক্যাচ বানিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৩০০তম উইকেটটি পেয়ে যান কাইরন পোলার্ড। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ২৯৯তম উইকেটটি পেয়েছিলেন ২ বল আগেই জাতীয় দল সতীর্থ ক্রিস গেইলকে আউট করে। গেইল ফিরেছেন ১ রানে। আগের ওভারেই ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাঞ্জাব দেখতে না দেখতেই চতুর্থ উইকেট হারায় অষ্টম ওভারে ৪৮ রানে।

২ রান করে নিকোলাস পুরানের বিদায়ের পর দীপক হুদাকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন মার্করাম। ২৬ বলে ২৮ রান করেন হুদা। পাঞ্জাবের ইনিংসে এ ছাড়া দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন ওপেনার মনদীপ সিং (১৪ বলে ১৫ রান) ও হারপ্রীত ব্রার (১৯ বলে অপরাজিত ১৪ রান)।

রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ১৬ রান তোলার পর রবি বিষ্ণয়ের জোড়া আঘাতে টালমাটাল মুম্বাই। ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার টানা দুই বলে তুলে নেন ভারতের জাতীয় দলের দুই ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ও সুর্যকুমার যাদবের উইকেট।

স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তোলেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত। আউট হওয়ার আগের ৯ বলে ৮ রান করেছেন রোহিত। পরের বলেই বিষ্ণয়ের গুগলি শূন্য রানে ফেরায় সূর্যকুমারকে। বিষ্ণয়কে হ্যাটট্রিক করতে দেননি সৌরভ তিওয়ারি। ৪ ওভারে ২৫ রান দেওয়া লেগ স্পিনারের উইকেট এ দুটিই।

জোড়া আঘাতের পর তিওয়ারিকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক। ১০ম ওভারে পেসার মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হওয়া প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ২৯ বলে করেন ২৭ রান। তিওয়ারি ফেরেন ১৬তম ওভারের প্রথম বলে দলকে ৯২ রানে রেখে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে।।