পেইনকেই উইকেটকিপার হিসেবে চান অস্ট্রেলিয়ার বোলার

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার টিম পেইনফাইল ছবি

কী লেখা আছে টিম পেইনের ভাগ্যে—অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে এখন অ্যাশেজের চেয়ে বেশি আলোচনা এ নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো পেইন কি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের দলে থাকবেন—আলোচনা যখন এদিকে মোড় নিয়েছে, তাঁর পাশে থাকার কথাই বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলার নাথান লায়ন। উইকেটের পেছনে পেইনের বিশ্বস্ত হাত দুটিকে তাঁর খুব প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার।

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা এখনো অ্যাশেজের জন্য নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলে উঠে আসছে ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্সের নাম। অধিনায়ক হিসেবে না হয় পেইনের বিকল্প কামিন্স হলেন, কিন্তু দলে পেইনের জায়গা থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্তও তো নিতে হবে নির্বাচকদের। পেইনের দলে থাকা না–থাকা নিয়ে যেন দুই ভাগে বিভক্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহল। কেউ দলে পেইনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছেন, কেউ আবার বিতর্কিত একজন ক্রিকেটারকে দলে না রাখার পক্ষে রায় দিচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজের দলে টিম পেইনকে উইকেটকিপার হিসেবে চান নাথান লায়ন
ফাইল ছবি

অবস্থা যখন এমন, পেইনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার আজ বলেছেন, ‘আমি চাই সে দলে থাকুক। কারণ, এই মুহূর্তে সে বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার।’ এখানেই থামেননি লায়ন। পেইনের সঙ্গে দলের সব বোলারদের বোঝাপড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘নির্বাচকেরা সব সময়ই বলে এসেছেন, তাঁরা সেরা একাদশ বেছে নেন। আমার দৃষ্টিতে টিম পেইন বিশ্বের সেরা কিপার। আমি নিজেও তাঁকে দলে চাই।’

লায়ন এরপর যোগ করেন, ‘তাঁর সঙ্গে সব বোলারদেরই সম্পর্ক খুব ভালো। টিম পেইন সবার কাছে প্রিয় একজন মানুষ। ড্রেসিংরুমে সে সবার শ্রদ্ধার পাত্রও।’ টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক থেকে আর একটি মাত্র উইকেট দূরে থাকা লায়ন এরপর যেন দলের সবার মুখপাত্র হয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে পেইন অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমের পুরো সমর্থন পাবেন।’ এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার মার্কাস হ্যারিসও পেইনের প্রতি তাঁর সমর্থন আছে বলে জানিয়েছিলেন।

বিতর্কের জের ধরে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন টিম পেইন
ফাইল ছবি

২০১৭ সালের নভেম্বরে ক্রিকেট তাসমানিয়ার এক নারী কর্মীকে অশ্লীল বার্তা ও ছবি পাঠিয়েছিলেন পেইন। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে তদন্তও করেছিল ক্রিকেট তাসমানিয়া ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তদন্ত শেষে পেইনকে কোনো শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দিয়েছিল তারা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মনে হয়েছিল, পেইন বোর্ডের আচরণবিধি ভাঙেননি। কিন্তু পাঁচ বছর পর বিষয়টি চলে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে। ঘটনা জনসমক্ষে আসার পরপরই সংবাদ সম্মেলন ডেকে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন পেইন।

লায়ন অবশ্য পেইনের নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টির প্রশংসাই করেছেন, ‘টিম একটি ভুল করেছেন। তিনি এটা স্বীকারও করেছেন। সত্যি বলতে কি, আমার কাছে এই ভুল স্বীকার (নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো) দারুণ সাহসী সিদ্ধান্ত।’