পেসারদের নিয়ে খালেদ মাহমুদের ক্লাস

মোস্তাফিজ-তাসকিনদের এমন উচ্ছ্বাস খুব কমই দেখা গেছে ২০১৭ সালে। ফাইল ছবি
মোস্তাফিজ-তাসকিনদের এমন উচ্ছ্বাস খুব কমই দেখা গেছে ২০১৭ সালে। ফাইল ছবি

২০১৫ সালটা ছিল বাংলাদেশের সোনার ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার এক বছর। সেই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল বাংলাদেশ দলের পেসারদের। কিন্তু গত দুই বছরে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছেন পেসাররা। এ বছরটা তো খুব বাজেই গেল তাঁদের। বিসিবির চিন্তাটা এখানেই।

বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে কাল। প্রথম দিন ফিটনেস পরীক্ষা শেষে আজ থেকে জিমের পাশাপাশি শুরু হয়েছে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। প্রথম দিনেই পেসারদের নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন খালেদ মাহমুদ। বিসিবি যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি তাঁর পদের নাম। তবে মাহমুদ নিজেই জানালেন, তিনি কাজ করছেন ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’ হিসেবে।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে প্রথম দিনটা মাহমুদের কেটেছে পেসারদের নিয়েই। তাঁর আগে মোস্তাফিজ-তাসকিনদের খানিক সময় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশ দলের সাবেক বাঁহাতি পেসার গোলাম নওশের। ১০ দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রাথমিক যুগের এই অগ্রসেনানী। আজ সকালে বিসিবি একাডেমি মাঠে একটু তালিম দিয়ে গেলেন উত্তরসূরিদের।
মোস্তাফিজ-তাসকিনদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন নওশের, ‘ওদের বলেছি ভালো বোলিং করতে, শতভাগ ফিট থাকতে। আমরা যেখানে-সেখানে খেতাম না। সব সময় একটা ক্রিকেট সংস্কৃতির মধ্যে থাকতাম। ক্রিকেট সংস্কৃতির মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি। এভাবেই তোমাদের নিজেদের এগিয়ে নিতে হবে। নিজেদের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। তারা দেশের সম্পদ। ওদের চলতে হবে সেভাবেই।’
তবে পেসারদের নিয়ে বেশ চিন্তিত খালেদ মাহমুদ। এ বছর তিন সংস্করণে এমন একটা ম্যাচ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেটিতে শুধু পেসাররাই ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন। মাহমুদ তাই বললেন, ‘সব সময় দেখা গেছে ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের। মোস্তাফিজ-মিরাজের কিছু ভালো স্পেল অবশ্য আছে। এটা নিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলছি। ব্যাটসম্যানরা যতটা উন্নতি করেছে, বোলাররা ততটা পারেনি।’
বোলারদের কোথায় সমস্যা, সেটিও অজানা নয় বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের। তবে মাহমুদ আশাবাদী, দ্রুতই ছন্দে ফিরবেন পেসাররা, আবারও দলকে এনে দেবেন সাফল্য, ‘গত দুই বছরে ভালো বোলিং করছে না আমাদের ফাস্ট বোলিং বিভাগ, এটা চিন্তার জায়গা। সব সময়ই বলি ওরাই ম্যাচ জেতায়। এটা নিয়ে একটু তাই চিন্তিত। চেষ্টা করব তারা যেন লাইন-লেংথ-অ্যাকুরেসি আয়ত্তে আনতে পারে। আমাদের বোলাররা এখনো অ্যাকুরেসি আয়ত্তে আনতে পারিনি। ম্যাচ জয়ে সুইং-অ্যাকুরেসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করব।’