পৈশাচিক গণধর্ষণের বিচার চাইলেন কোহলি

আইপিএল খেলতে এখন আরব আমিরাতে রয়েছেন বিরাট কোহলি।
ছবি: টুইটার

মর্মান্তিক ঘটনাটা দুই সপ্তাহ আগের। ভারতের উত্তর প্রদেশে হাথরাস অঞ্চলে গণধর্ষণের শিকার হন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। নরপিশাচরা অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল তাঁর ওপর। এ কদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তে আর আজ মারা গেছেন তিনি। পৈশাচিক ঘটনাটা নাড়িয়ে দিয়েছে বিরাট কোহলির মনোজগৎ। এমন অকথ্য ঘটনা ‘বর্বরতাকেও হার মানায়’ বলে মনে করেন তিনি। দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভারত ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক।

খেতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন সেই তরুণী। চারজন তরুণ তাঁকে জোর করে খেতের মধ্যে নিয়ে গণধর্ষণ করে। অমানুষিক অত্যাচারের পর তাঁর জিভ কেটে ফেলা হয়। উদ্ধারের পর তাঁর দেহে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। দিল্লির এক হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাঁচানো যায়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল খেলতে যাওয়া কোহলি এ ঘটনায় চুপ করে থাকতে পারেননি। আজ ঘণ্টাখানেক আগে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক টুইট করেন, ‘হাথরাসে যা ঘটেছে তা অমানবিক এবং বর্বরতাকেও হার মানায়। আশা করি এই জঘন্য অপকর্মের হোতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’ মেয়েটির নাম ছিল মনীষা বাল্মীকি। হ্যাশট্যাগ মনীষা বাল্মীকি লিখে এ পোস্ট করেন কোহলি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, ঘটনার ১০ দিন পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাথরাসের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর অচল হয়ে গিয়েছিল সেই তরুণীর। গলায় ফাঁস দেওয়ায় জিভে কামড় লাগায় কেটে যায় জিভ। তাঁর ভাইয়েরা জানিয়েছে, হাসপাতালে থাকতে মেয়েটি বারবার বাড়ি ফিরতে চেয়েছে। মৃত্যুর পর হাসপাতালের সামনেই রাস্তা অবরোধ করে জনতা এবং দাবি তোলা হয় ‘ধর্ষককে ফাঁসি দাও।’

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ধর্ষকেরা মেয়েটির গ্রামেরই উচ্চবর্ণের। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এখন খুনের অভিযোগও গঠন করা হবে। পুলিশের জবানবন্দিতে মেয়েটি জানিয়েছিল, তাঁকে ওড়না দিয়ে বেঁধে খেতের মধ্যে নেওয়া হয়েছিল। মেয়েটি তখন ঘাস কাটছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে মেয়েটির ভাই জানান, ‘আমার মা, বোন এবং বড় ভাই মাঠে গিয়েছিল ঘাস কাটতে। ঘাসের বড় বোঝা নিয়ে আমার ভাই আগেই ফিরে যায়। মা ও বোন তখনো ঘাস কাটছিল। একজন আরেকজনের চেয়ে একটু দূরে ছিল। চার-পাঁচজন লোক পেছন থেকে এসে বোনের ঘাড়ে ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে জোর করে নিয়ে যায়।’