প্রায় জেতা ম্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে হারল হায়দরাবাদ

অবিশ্বাস্য এক জয়ের পর পাঞ্জাবের উল্লাস।ছবি: আইপিএল

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পাওয়ার প্লে শেষেই মনে হয়েছিল ম্যাচ শেষ। ১২৭ রান তাড়া করতে নেমে ৬ ওভারেই ৫২ রান হায়দরাবাদের। সে ম্যাচটাই কিনা গড়াল শেষ ওভারে! সহজ এক ম্যাচকে অযথা কঠিন করে তুললেন ডেভিড ওয়ার্নার ও তাঁর দলবল। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দায় মিটিয়ে  কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কাছে ১২ রানে হারল হায়দরাবাদ।

ম্যাচের রং পাল্টানোর কৃতিত্ব রবি বিষ্ণয়ের। কিছুদিন আগেও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা এই লেগ স্পিনারই প্রথম ফাটল ধরিয়েছেন হায়দরাবাদ ইনিংসে। সপ্তম ওভারে বিষ্ণয়ের বলে ওয়ার্নার (৩৫) যখন ফিরছিলেন তখন কল্পনাও করতে পারেন কী হতে যাচ্ছে।

ওয়ার্নারের ৬ বল পরই ড্রেসিংরুমমুখী হয়েছে জনি বেয়ারস্টো (১৫)। বিনা উইকেটে ৫৬ রান হঠাৎ ৩ উইকেটে ৬৭ বনে গেল। এর পর সেই যে খোলসে ঢুকেছেন হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা, সেখান থেকে আর বের হয়ে ওঠা হয়নি। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে চাপটা ধরে রেখেছেন বিষ্ণয়।

কিপটেমিতে কম যাননি ক্রিস জর্ডানও। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আসল ভেলকিটা দেখিয়েছেন ১৯তম ওভারে। ২ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। সে ওভারে টানা দুই বলে হোল্ডার ও রশিদ খানকে ফিরিয়েছেন, আর খরচ করেছেন মোটে ৩ রান! শেষ ওভারে ১৩ রানের পুঁজি পেয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। মাত্র ১ রান দিয়ে সেটাকেও পাহাড় বানিয়ে ফেললেন এই বাঁহাতি পেসার। শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়েই মাঠ ছেড়েছে হায়দরাবাদ।

এ দুজন যখন ব্যাট করছিলেন, তখন জয়টা হায়দরাবাদের হাতের নাগালে মনে হচ্ছিল।
ছবি: আইপিএল

এর আগে রানের জন্য ভুগতে দেখা গেছে পাঞ্জাবকেও। পাওয়ার প্লেতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান তোলা পাঞ্জাব কোনোভাবেই রানের গতি বাড়াতে পারছিল না। ২০ বলে ২০ রান করেছেন গেইল। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ২৭ রানও এসেছে ২৭ বলে। দুজনই ইনিংসের একেবারে মাঝপথে ফিরেছেন। টানা দুই বলে এ দুজন ফেরার পর শেষ দশ ওভারে মাত্র ৬০ রান পেয়েছে পাঞ্জাব। দুবাইয়ের উইকেটে রশিদ খান, জেসন হোল্ডারের বলে রান তোলা কঠিন হয়ে উঠেছিল। ৪ ওভার বল করে ১৪ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন রশিদ খান। নিকোলাস পুরানের মতো ব্যাটসম্যানও ২৮ বলে মাত্র ৩২ রান তুলেছেন, মেরেছেন মাত্র ২টি চার।