প্রীতি জিনতার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ‘শঙ্কা’ কমছেই না

কালও মাঠে ছিলেন প্রীতি জিনতা।ছবি: টুইটার

প্রীতি জিনতা বছরের এই সময়টায় কোনো হৃদ্‌যন্ত্রের বিশেষজ্ঞকে পাশে রাখলেই পারেন। প্রতি আইপিএল মৌসুমে পাঞ্জাব দল যে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের কর্মদক্ষতার চরম পরীক্ষা নেয়। বলিউড অভিনেত্রী ও তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গী নেস ওয়াদিয়া কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের নাম বদলে ফেলেছেন।

ফ্র্যাঞ্চাইজিটি গতবার থেকে পাঞ্জাব কিংস নামেই পরিচিত। নাম বদলালেও তাদের ভাগ্য বদলায়নি। গতবারও আইপিএল জেতা হয়নি। গতবার অধিকাংশ ম্যাচ শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত টান টান উত্তেজনায় সমাপ্তি টেনেছে পাঞ্জাব।

এ মৌসুমের প্রথম ম্যাচেও চরিত্র বজায় রেখেছে পাঞ্জাব কিংস। গতকাল আইপিএলের একমাত্র ম্যাচে রানবন্যা হয়েছে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ২২১ রান তুলেছিল পাঞ্জাব। রানপাহাড়ের চূড়ায় বসেও সমর্থকদের শান্তি পেতে দেয়নি দলটি। শেষ বল পর্যন্ত উৎকণ্ঠা ছিল, এ ম্যাচ হারতেও পারে পাঞ্জাব।

শেষ পর্যন্ত নাটকীয় এক জয় পেয়েছে পাঞ্জাব। এমন এক ম্যাচ জিতে টুইটারে তাই আবেগ ঢেলে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। বলেছেন, এবারও প্রতি ম্যাচেই হার্ট অ্যাটাক করানোর চেষ্টা করছে তাঁর দল।

স্যামসন পারেননি দলকে জেতাতে।
ছবি: আইপিএল

গতকাল কে এল রাহুল (৯১), ক্রিস গেইল (৪০) ও দীপক হুদা (৬৪) ঝড় তুলে পাঞ্জাবকে ২২১ রান এনে দিয়েছিলেন। এত বড় লক্ষ্য প্রায় একাই পার করিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ১১৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ম্যাচ জেতানোর কাজটা করে ফেলেছিলেন নতুন অধিনায়ক।

আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম কোনো অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি করা স্যামসনকে শেষ ওভারে করতে হতো মাত্র ১৩ রান। অর্শদ্বীপ সিংয়ের বলে কাজটা খুব সহজেই করার কথা ছিল স্যামসনের। কারণ, নিজে ব্যাট করছিলেন ১১২ রানে। অন্যদিকে, আইপিএলের নিলামের সর্বোচ্চ দামের ইতিহাস গড়া ক্রিস মরিস।

প্রথম তিন বলে ২ রান করেছিলেন স্যামসন। চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন স্যামসন। পঞ্চম বলে রান নেওয়ার সুযোগ পেয়েও নেননি স্যামসন। শেষ বলে ৫ রান নেওয়ার কঠিন কাজটা আর পেরে ওঠা হয়নি স্যামসনের। তাঁকে ডিপ কাভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে পাঞ্জাবকে জিতিয়েছেন অর্শদ্বীপ।

আবারও নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতল পাঞ্জাব।
ছবি:আইপিএল

৪ রানের জয়েই তাই হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে পাঞ্জাবের রাজারা। আর প্রীতি জিনতাও নিজের দল নিয়ে মজা করে টুইট করতে পেরেছেন। ম্যাচের পর টুইট করেছেন, ‘বাহ, কী দুর্দান্ত ম্যাচ! নতুন নাম ও নতুন জার্সিতে খেলছে, তবু পাঞ্জাব ম্যাচে আমাদের হার্ট অ্যাটাক করার শঙ্কা থামাচ্ছে না। কী করা যায়? আমাদের জন্য নিখুঁত ম্যাচ ছিল না। কিন্তু শেষটা একদম নিখুঁত হয়েছে। কে এল রাহুল, দীপক হুদা এবং সব ছেলেকে বলছি, ওয়াও!’

প্রীতি জিনতার এভাবে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করা নতুন কিছু নয় পাঞ্জাবের। গত মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সহজ ম্যাচ ভীষণ কঠিন করে তুলেছিল পাঞ্জাব। শেষ দুই ওভারে মাত্র ৭ রান দরকার—এমন ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিল পাঞ্জাব।

সে ম্যাচের শেষেও টুইট করেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমাদের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয় জয়টা মিলল। আশা করি, আমাদের দল ক্রিকেটের নামে লোকের হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। একটা প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা দিই—পাঞ্জাবের ম্যাচ দুর্বলচিত্তের লোকদের জন্য নয়। তবে আরসিবির বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশংসা রইল।’

পাঞ্জাব কিংস সে অভ্যাস এবারও তাহলে বাদ দিতে পারল না!