বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে

আরও একবার ফাইনালে ওঠার স্মৃতিটা হয়ে রইল ‘এত কাছে, তবু এত দূরে’র গল্প। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে হার আরও অনেক দিন বাংলাদেশের হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাবে। তবে এখান থেকে বাংলাদেশ সান্ত্বনা পেতে পারে যে, মাশরাফিদের এশিয়া কাপ অভিযানটা গোটা ক্রিকেট-বিশ্বেরই দৃষ্টি কেড়েছে।

পরশু ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পরই সাবেক ক্রিকেটাররা টুইট করে বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার রাসেল আরনল্ড বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নিজের মুগ্ধতা আগেও অনেকবার জানিয়েছেন। পরশুও যেমন টুইট করলেন, ‘দারুণ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে তাদের আয়োজন দারুণ ছিল। আর দল হিসেবে তাদের উন্নতিতে বাংলাদেশ গর্ব করতেই পারে।’

কুমার সাঙ্গাকারা বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেকজন শুভাকাঙ্ক্ষী। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারানোর পর টুইট করেছিলেন। পরশু আবারও করলেন, ‘ভারতই এখন দাপট দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ খুবই ভালো করেছে, কিন্তু কোহলি-অশ্বিনকে নিয়ে ভারতকে হারানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ সনাৎ জয়াসুরিয়াও বাংলাদেশের উন্নতির কথাটা মনে করিয়ে দিলেন, ‘ভারত সিরিজজুড়েই দুর্দান্ত খেলেছে, তবে বাংলাদেশকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। দিনটা আজ ওদের পক্ষে ছিল না, এই যা!’ আরেক সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনের কণ্ঠেও একই সুর, ‘বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, তাতে নিজেদের নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে।’

এশিয়া কাপে ধারাভাষ্য দিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন সাবেক পাকিস্তান পেসার শোয়েব আখতার। যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে দিয়ে গেলেন বরমাল্য, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল উন্নতির পথে আছে। এই এশিয়া কাপে তারা চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলেছে।’

ক্রিকেট-বিশ্লেষক ও সাবেক ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়ার মুগ্ধতা যেন আরও বেশি। দারুণ একটা শংসাপত্রই দিয়েছেন তিনি মাশরাফিদের, ‘টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের উত্থানটা এখন আর ভুলে যাওয়ার উপায় নেই। ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে চমকের পর এটা অবশ্য অবধারিতই ছিল। ওরা এসে গেছে।’

ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলেও বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, তাতে এর মধ্যেই তারা অনেকের মন জয় করে নিয়েছে। আমি আশা করছি, সামনের বছরগুলোতে ওরা আরও অনেক ভালো করবে।’ আরেক ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু বলেননি, তবে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং অসাধারণ ছিল। ভালো বলেও বাউন্ডারি মারতে পারাটাই ওর সবচেয়ে বড় শক্তি।’