বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কে?

অ্যালেক্স ক্যারিকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে বাংলাদেশে?ছবি: এএফপি

বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক কে হবেন?

নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ছিটকে গেছেন চোটের কারণে। বাংলাদেশ সফরে তাই সহ-অধিনায়ক থাকা ম্যাথু ওয়েডকেই দেখা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে। তবে এখনো আনুষ্ঠিকভাবে সে ঘোষণা দেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অ্যালেক্স ক্যারির পারফরম্যান্স এবং অধিনায়কত্ব সিদ্ধান্তটা একটু হলেও ‘জটিল’ করে তুলেছে তাদের জন্য।

অধিনায়কত্ব নিয়ে ল্যাঙ্গার পড়েছেন মধুর সমস্যায়
ফাইল ছবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে হারা টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরপরই হাঁটুর চোট নিয়ে দেশে ফিরে গেছেন সীমিত ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চ। ওয়ানডেতে তাঁর বদলে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতিয়েছেন ক্যারি। দুই দলের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এ সিরিজে ১০০-এর ওপরে রান করেছেন তিনি। সিরিজটি হয়েছে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন, ধীরগতির উইকেটে।

ক্যারির ওয়ানডে পারফরম্যান্স আর অধিনায়কত্ব নিয়ে বেশ খুশি অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ‘আমরা জানি সে চূড়ান্ত পেশাদার একজন ক্রিকেটার। ফলে অধিনায়ক হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করাটা সহজ। প্রতিপক্ষ এবং নিজেদের ব্যাপারে সবকিছু জেনেই মাঠে নামে সে। তার সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ। মাঠে এবং মাঠের বাইরে সত্যিই সে ভালো কাজ করেছে। অধিনায়কত্বের পদে তাকে দেখে মুগ্ধ আমি।’

টি–টোয়েন্টি দলের সহ অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের বাংলাদেশে অধিনায়কত্বের সম্ভাবনা আছে
ছবি: এএফপি

তবে বাংলাদেশ সফরে যে সংস্করণে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, সেই টি-টোয়েন্টিতে ক্যারির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অবশ্য সুবিধার নয় মোটেও। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্যারির ব্যাটিং গড় মাত্র ৭.৩৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া পাচ্ছে না বেশ কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটারকে। ক্যারি তাই বাংলাদেশে খেলতে পারেন শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই।

আপাতত অধিনায়ক ঠিক করার ব্যাপারে ল্যাঙ্গার আলোচনা করবেন নির্বাচক কমিটির প্রধান ট্রেভর হনস ও নির্বাচক জর্জ বেইলির সঙ্গে। বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কে হবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ল্যাঙ্গার প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথাই বলেছেন, ‘এসব ব্যাপারে আমরা ধারাবাহিক থাকতে চাই। আশা করি, বেশ কিছুদিন ধরেই দল নির্বাচন, অধিনায়ক ঠিক করার ব্যাপারে আমরা যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করি, সেটা দেখাতে পেরেছি। কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও আমরা সেটিই করব।’

বাংলাদেশ সফরে অধিনায়কত্ব ছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় যোগ্য খেলোয়াড় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তিন নম্বরে মিচেল মার্শের পারফরম্যান্সে বেশ মুগ্ধ ল্যাঙ্গার। লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। চোট কাটিয়ে ফেরা অ্যাশটন অ্যাগারকেও পাবেন তিনি। অন্যদিকে চোটের কারণে শেষ ম্যাচ না খেলা ব্যাটসম্যান বেন ম্যাকডারমটের চোট কেমন, সেটি নিশ্চিত নয় এখনো।

বুধবার ভাড়া করা একটি বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার। আগস্টের ৩-৯ তারিখ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচটি টি–টোয়েন্টি খেলবে তারা।