৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি হলো না দা সিলভার

সেঞ্চুরিটা পেলেন না দা সিলভা।ছবি: প্রথম আলো

এনক্রুমা বোনার প্রথম সেঞ্চুরির গন্ধ পেতে পেতেও হারিয়ে ফেলেছেন। সে পথেই গেলেন জশুয়া দা সিলভা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিকে প্রথম সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে মাত্র ৮ রান দরকার ছিল এই উইকেটরক্ষকের। কিন্তু তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়েছেন দা সিলভা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৭ উইকেটে ৩৮৪।

প্রথম দিনে ওভারপ্রতি আড়াই রানও করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিপক্ষের মাত্র ৫ উইকেট তুলতে পারলেও মাত্র ২২৩ রান করায় বাংলাদেশ আশা দেখছিল। আজ সকালে বেশ কিছু উইকেট তুলে নিয়ে ৩০০-এর মধ্যে আটকে ফেলার আশা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের সকাল শুধু হতাশা উপহার দিল স্বাগতিকদের। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
 
আজ সকালে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য এনক্রুমা বোনারের উইকেট। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮৬ রান করেছিলেন অভিষিক্ত বোনার। দ্বিতীয় টেস্টেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যাবেন বলে মনে হচ্ছিল। খেলছিলেনও দারুণ। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ স্লিপে ধরা পড়েছেন দিনের ১২তম ওভারে। ৯০ রানে আউট হয়েছেন বোনার। তাঁর ব্যক্তিগত হতাশা বাদে সকালটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৬ উইকেটে ৩২৫ রানে মধ্যাহ্নভোজন করতে গেছে সফরকারীরা।

আবারও সেঞ্চুরি হাতছাড়া বোনানের।
ছবি: এএফপি

ক্যারিয়ারের প্রথম নার্ভাস নাইন্টিজের স্বাদ পাওয়ার আগে জশুয়া দা সিলভার সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়েছেন বোনার। এক প্রান্ত ধরে রাখার কাজটা যে ভালো পারেন, সেটা চট্টগ্রামেই দেখিয়েছেন। মিরপুরে আরও একবার দেখালেন। ২০৯ বলের ইনিংসে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো সুযোগ দেননি বাংলাদেশকে।

২৬৬ রানে বোনার ফেরার পর বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল। কিন্তু অন্য প্রান্তে দা সিলভা তো রয়ে গেছেন। এক প্রান্ত ধরে রাখার দায়িত্বটা বোনারের কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছেন দা সিলভা। আর রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন আলজারি জোসেফ। ৫ চার ও ২ ছক্কায় বাংলাদেশি স্পিনারদের থিতু হতে দেননি। ৪৮ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত জোসেফ। ওদিকে ১৩৬ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত দা সিলভা। এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

পঞ্চাশের পর দা সিলভা।
ছবি: এএফপি

এর আগে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। উপায় না দেখে সাত ওভারের পরই দুই প্রান্তে বোলার বদলান অধিনায়ক। দিনের প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করা মিরাজই এনে দিয়েছেন সাফল্য। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে তাঁর সোজা যাওয়া বল ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ স্লিপে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে তুলে দেন বোনার।