বাংলাদেশকে গতি দিয়ে ঘায়েলের হুমকি শ্রীলঙ্কার

বাংলাদেশ সিরিজের দল দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডপ্রথম আলো ফাইল ছবি

বাংলাদেশকে নিয়ে হিসেব কষছে শ্রীলঙ্কা। কীভাবে ঘায়েল করা যায়। বিভিন্ন হিসেব মেলাচ্ছে তাঁরা। করোনাকালের এই সফরে যেকোনোভাবেই বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে থাকতে চায় দিমুথ করুনারত্নের বাহিনী।

কোন অস্ত্র দিয়ে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলা হবে, এটাও ভেবে রেখেছে তারা। এ নিয়ে তেমন রাখঢাকও রাখেননি শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার অশান্ত ডি মেল।

শ্রীলঙ্কা সব সময়ই ঘরের মাঠে স্পিনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিপক্ষকে ঘূর্ণি উইকেটে ফেলে বিভ্রান্ত করাই তাদের পুরোনো কৌশল। তবে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সে কৌশল পাল্টাচ্ছে তারা। ডি মেল জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে গতি দিয়েই সমস্যায় ফেলতে চায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল।

আমাদের শক্তি এ মুহূর্তে পেস আক্রমণ। বাংলাদেশ দলে বেশ কিছু ভালো স্পিনার থাকবে। তবে পেস আক্রমণই আমাদের দলের শক্তি। আমরা আমাদের শক্তির পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।
অশান্ত ডি মেল, শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে পেসারদের আধিক্য থাকবে বলেই স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ডকে জানিয়েছেন ডি মেল, ‘আমরা বাংলাদেশকে গতি আক্রমণ দিয়েই হারাতে চাচ্ছি। এটা নিশ্চিত যে দলে স্পিনারের আধিক্য থাকবে না।’

ফাস্ট বোলিংকে এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কান দলের শক্তিই মনে করেন ডি মেল, ‘আমাদের শক্তি এ মুহূর্তে পেস আক্রমণ। বাংলাদেশ দলে বেশ কিছু ভালো স্পিনার থাকবে। তবে পেস আক্রমণই আমাদের দলের শক্তি। আমরা আমাদের শক্তির পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।’

করোনার কারণে গত মার্চ মাস থেকে ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই দলই। শ্রীলঙ্কায় ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে গড়ালেও বাংলাদেশে এখনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট শুরু হয়নি। এ মাসের শেষ দিকে ৩০ সদস্যের দল নিয়ে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থাকবে দল।

শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক অশান্ত ডি মেল
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সূত্রে যে পূর্ণাঙ্গ সফরসূচি পাওয়া গেছে সে অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও হাই পারফরম্যান্স দল (এইচপি) কলম্বোর উদ্দেশে ভাড়া করা উড়োজাহাজে রওনা দেবে ২৭ সেপ্টেম্বর। সেখানে দলের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে। বিসিবি চেয়েছিল কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে পরদিন থেকেই এইচপির কোনো খেলোয়াড় যেন অনুশীলনে নেমে পড়তে পারে। এসএলসি বিসিবির সে চাওয়া পূরণ করবে।

সূচি অনুযায়ী প্রথম দুই টেস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ক্যান্ডিতে। প্রধান নির্বাচক ডি মেলের গতি তত্ত্বের মূল এটিই। ক্যান্ডির উইকেট সব সময়ই পেস বোলারদের সাহায্য করে। ৩১ অক্টোবর দ্বিতীয় টেস্টে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরতে পারেন সাকিব আল হাসান। সফরের শেষ টেস্ট কলম্বোয়, শুরু হবে ৮ নভেম্বর।

লাকমলদের ওপরে ভরসা শ্রীলঙ্কার
প্রথম আলো ফাইল ছবি