বাংলাদেশের কোনো দল যা পারেনি, তামিমদের সেটি করার সুযোগ

ডমিঙ্গো মনে করেন এবারের নিউজিল্যান্ড সফর জয়ের বড় এক সুযোগই।ফাইল ছবি, প্রথম আলো

নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই অভিজ্ঞতা রয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোর। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে দুটি সফরে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন বর্তমান বাংলাদেশ দলের কোচ ডমিঙ্গো। তাহলে ডমিঙ্গোর হাত ধরে বাংলাদেশ কি পারবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের খাতা খুলতে? ডমিঙ্গো আপাতত ‘দারুণ সুযোগ হিসেবে’ই দেখছেন বাংলাদেশ দলের এবারের নিউজিল্যান্ড সফরকে।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের দল। এ ম্যাচ সামনে রেখে ডানেডিনে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো দল যা কখনো করতে পারেনি, সেটাই করে দেখানোর সুযোগ আমাদের সামনে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে এটাই আমার প্রথম সফর। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এসেছি। এখানে সফরটা কঠিন। কিন্তু তরুণদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সামনেই বিশ্বকাপ আর নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। ভারতে (বিশ্বকাপ) ভালো করতে চাইলে এমন সব সিরিজেই ভালো খেলতে হয়।’

ডানেডিনে দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন ডমিঙ্গো।
ছবি: বিসিবি

ডানেডিনে ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে গড়াবে প্রথম ওয়ানডে। এখানকার উইকেটে প্রচুর রান দেখছেন ডমিঙ্গো। তবে সকালে উইকেটে আর্দ্রতা থাকায় বোলারদের জন্যও সুবিধা দেখছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘(এখানে) ঘরোয়া ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখি। এ মাঠে গড়া স্কোর সম্ভবত ৩০৭ রান। বাউন্ডারি সীমানা কিছু দিকে ছোট, ৬৫ মিটারের মতো। আমরা রান আশা করছি।’ সিরিজের প্রথম ম্যাচে রস টেলর ও কেন উইলিয়ামসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। এদিকে ৫০ ওভারের সংস্করণে বাংলাদেশকে শক্তিশালী মনে করেন ডমিঙ্গো। দলে ভালো কিছু পেসার থাকায় নিউজিল্যান্ডকে এবার চমকে দিতে চান তিনি, ‘তিন সংস্করণের মধ্যে আমরা ৫০ ওভারের খেলায় সবচেয়ে শক্তিশালী। আমাদের কিছু পেসার আছে, নিউজিল্যান্ড যাদের কখনো খেলেনি। হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের প্রতিভা আছে, ভালো বল করছে। ফাস্ট বোলারদের কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু্ই আশা করছি।’

ডানেডিনে চলছে ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি।
ছবি: বিসিবি

নিউজিল্যান্ডে নেমে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে খেলোয়াড়দের সাড়া দেওয়ার ধরন দেখে খুশি ডমিঙ্গো। প্রথম সাত দিন তাদের কামরায় থাকতে হয়েছে। এরপর গত সপ্তাহে কুইন্সটাউনের একটি ট্রেনিং ক্যাম্পে কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রাথমিক সফরসূচি পাল্টে পরে এই ট্রেনিং ক্যাম্প যোগ করা হয়। ডমিঙ্গো তাতে সন্তুষ্ট, ‘কোয়ারেন্টিনে প্রস্তুতি নেওয়ার একটু বেশি সময় পেয়েছি। প্রস্তুতি দারুণ হয়েছে। লকডাউন কঠিন ছিল কিন্তু খেলোয়াড়দের কোনো অভিযোগ নেই। তিন সপ্তাহ ধরে খেলোয়াড়েরা যেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেছে, তাতে আমি খুব সন্তুষ্ট।’