বাংলাদেশের প্রাপ্তি শুধু টেলরের উইকেট

শুধু টেলরকেই আউট করতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।ছবি: টুইটার

লিটন দাস বলেছিলেন, দ্রুত উইকেট নিতে পারলে বদলে যেতে পারে ম্যাচের চিত্র। উইকেট একটি পেয়েছে বাংলাদেশ, কিন্তু সেটা দ্রুতগতিতে আসেনি। পানি পানের বিরতি পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে সফরকারীদের। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে অবশ্য ব্রেন্ডন টেলরের উইকেটটাই বাংলাদেশের জন্য বড় স্বস্তি। উইকেটে পেসাররা যেমন মুভমেন্টের দেখা পাচ্ছেন না, সেভাবে টার্নও মেলেনি স্পিনারদের। তাসকিন আহমেদ আগের দিনই সতর্ক করেছিলেন, হারারের এ উইকেট পেতে ধৈর্য ধরতে হবে তাঁদের।

১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে প্রথম সেশনে যোগ করেছে আরও ৯৫ রান। মাত্র ২৬ ওভারে এ রান বলছে বাংলাদেশের বোলারদের জেঁকে বসার কোনো সুযোগ মেলেনি আজ। অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন দুই অভিষিক্ত তাকুজোয়ানশে কাইতানো ও ডিওন মায়ার্স। কাইতানো অপরাজিত ৬৩ রানে, ২৭ বলে ২১ রান করেছেন মায়ার্স।

জুটিতে ১১৫ রান এনে দিয়েছেন টেলর-কাইতানো।
ছবি: টুইটার

তৃতীয় দিনের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য ছিল হতাশার। দ্বিতীয় দিন শেষ করা টেলর ও কাইতানোর জুটি অবিচ্ছিন্ন ছিল প্রথম ঘণ্টার পরও। প্রথম ঘণ্টায় আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আরও ৬০ রান যোগ করেছিল জিম্বাবুয়ে, সেটাও মাত্র ১৪ ওভারে।

দিনের প্রথম ওভারটা মেডেন দিয়ে শুরু করেছিলেন ইবাদত হোসেন। শুরুতে আঁটসাঁট বোলিং করলেও পরে বাউন্ডারি দিয়েছেন বেশ কয়েকটি। প্রথম ঘণ্টায় টেলর ও কাইতানো মিলে মেরেছেন মোট আটটি বাউন্ডারি, ৭ চারের সঙ্গে একটি ছয় হয়েছে এ সময়ে।

মিরাজ এনে দিয়েছেন দিনের প্রথম উইকেট।
ছবি: টুইটার

দিনের ষষ্ঠ ওভারে সাকিব আল হাসানকে এনেছিলেন মুমিনুল হক। তাঁর দ্বিতীয় বলেই লং-অন দিয়ে ছয় মেরেছেন টেলর। তাঁর ফিফটিও এসেছে সে শটে। মাত্র ৫৮ বলেই বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ফিফটি হয়ে গেল তাঁর, টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ১১তম।

ক্যারিয়ারে ৬ সেঞ্চুরির পাঁচটিই টেলর করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে, ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দিকেও এগোচ্ছিলেন। তবে মিরাজকে আড়াআড়ি একটা আলগা শট খেলে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ৯২ বলে ৮১ রান করে স্কয়ার লেগে বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলীর হাতে ধরা পড়েছেন জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।

ফিফটি পেয়েছেন অভিষিক্ত কাইতানো।
ছবি: টুইটার

টেলর ফিরলেও জিম্বাবুয়েকে টানছেন কাইতানো ও মায়ার্স। অভিষেকে ফিফটি পেয়ে গেছেন কাইতানোও। ১৫৯ বলে ফিফটি পাওয়া কাইতানো এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন। মাত্র ষষ্ঠ জিম্বাবুইয়ান ওপেনার হিসেবে অভিষেকেই ফিফটি পেলেন তিনি। ওদিকে টেলরের পর ইতিবাচক ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন করছেন মায়ার্স। ২৭ বলের ইনিংসে একটি চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছয়।