বাংলাদেশের ফিল্ডারদের এমন ‘উদারতা’ ভুলবেন কীভাবে অ্যালেন?

এক ব্যাটসম্যান জীবন পেলেন চারবার!ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিং, বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিং, আর ক্যাচ হাতছাড়া—এবারের নিউজিল্যান্ড সফরের নিয়মিত দৃশ্য এটিই। কেবল এই সফরই নয়, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের খেলতে নামা মানেই ব্যর্থতার গল্প। সেই ব্যর্থতার গল্পের ধরনটাই আজ অকল্যান্ডে হলো অদ্ভুত। ক্যাচ মিসের মিছিলে আজ একেকবার একেকজন ব্যাটসম্যানের ক্যাচ না ফেলে এক ব্যাটসম্যানেরই ক্যাচ বাংলাদেশ ফেলল ৪ বার! চারবার জীবন পাওয়া ফিন অ্যালেন করলেন ২৯ বলে ৭১।

বৃষ্টির কারণে টি–টোয়েন্টি ম্যাচটা পরিণত হলো ‘টি–টেনে’। অকল্যান্ডের বৃষ্টি ছাপিয়ে ম্যাচটা সঙ্গে সঙ্গেই পরিণত হলো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চার–ছয়ের ঝড়ে। ১০ ওভারের ম্যাচ আর কিউই ব্যাটসম্যানরা ঝড় তুলবেন না, তা কী করে হয়!

পুরো সিরিজেই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা প্রচুর ‘সাহায্য’ পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে—মিস ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস, এমন কত কী! সফরের শেষ ম্যাচেও একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি না হলে কেমন হয়, আজ বাংলাদেশি ফিল্ডাররা নতুন এক গল্পগাথারই জন্ম দিলেন। অ্যালেনকে প্রথমে ১৯ রানের মাথায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা। ক্যাচ ফেলে দেন রুবেল হোসেন। এরপর ২৯ রানে আবারও ক্যাচ তুললেন অ্যালেন, সেবার মিস করলেন সৌম্য। পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলার পরও অ্যালানের ক্যাচ আবারও ফেলে দেন সৌম্য। ৬৯ রানের মাথায় নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ফেলার কাজটি করেন শরিফুল ইসলাম।

ফিল্ডিংয়ে দারুণ ‘উদার’ বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা
ছবি: এএফপি

এমন ভাগ্য হয় কয়জন ব্যাটসম্যানের! অ্যালেন সেটি উদ্‌যাপনই করলেন। বাংলাদেশি ফিল্ডাররা যতবার ক্যাচ ফেলেছেন, তিনি যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন। ইনিংস শেষে ফিরে বলেছেন, তাঁকে নাকি শান্ত রেখেছিলেন গাপটিলই, ‘ভালো লাগছিল। বেশ কিছু বল ব্যাটের মাঝে লেগেছে। আমরা বেশ ভালো একটা লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছি। তবে কৃতিত্বটা দিতে হবে গাপটিলকে। সে আমাকে শান্ত রেখেছে। তাঁর সঙ্গে ব্যাটিং করা বেশ উপভোগ্য।’

অ্যালেন ও গাপটিলের জুটি আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৫.৪ ওভারে যোগ করেছে ৮৫ রান। দুই প্রান্ত থেকেই দুই কিউই ওপেনারের চার-ছক্কায় বাংলাদেশি বোলারদের অবস্থা হয়েছে নাজেহাল। ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১৪১ রান করে ফেলার পর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গল্পটা অবশ্য যত দ্রুত স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যায়, ততই মঙ্গল।

এমন গল্পগাথা রচনার দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সান্ত্বনা একটাই—সফরটা অবশেষে শেষ হয়েছে।