‘বাচ্চা শেবাগ’ পেয়ে গেছে ভারত

দিল্লিকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে ব্যাটসম্যানরা রাখছেন দুর্দান্ত ভূমিকা।ছবি : আইপিএল

দিল্লি ক্যাপিটালস দলটা যেন আগামী দিনের ভারতের জাতীয় দলের এক আদর্শ বিজ্ঞাপন। শুধু ব্যাটিং লাইনআপটাই দেখুন। বর্তমান সময়ের শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে আগামীর তারকা পৃথ্বী শ, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পন্তরা দিল্লি ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। তারুণ্যের দাপটে অজিঙ্কা রাহানের মতো ব্যাটসম্যান সুযোগই পাচ্ছেন না। দলের অধিনায়কও তরুণ শ্রেয়াস আইয়ার।

এঁদের মধ্যে এবার বিশেষ করে নজর কাড়ছেন পৃথ্বী শ। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটি জমেছে বেশ। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুর্দান্ত শুরু এনে দিচ্ছেন ২০ বছরের এই তরুণ। এবার আইপিএলে ধারাভাষ্য দিতে আসা সাবেক ইংলিশ স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান এই তরুণে এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন, তাঁর তুলনা দিয়েছেন ভারতের সাবেক মারকুটে ওপেনার বীরেন্দর শেবাগের সঙ্গে।

আইপিএলে শ এই প্রথম আলো কাড়ছেন না। গত মৌসুমেই আইপিএলের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। ৯৯ রানে আউট হওয়ায় কীর্তিটা হাতছাড়া হয়ে গেছে তাঁর। ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক অবশ্য এর আগেই হয়ে গেছে তাঁর। দারুণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছেন। প্রথম থেকেই তাঁর সঙ্গে তুলনা হচ্ছিল শচীন টেন্ডুলকারের। কেউ কেউ তো পারলে তাঁকে টেন্ডুলকার ও লারার সংমিশ্রণ বলছিলেন। এবার গ্রায়েম সোয়ান নতুন ট্যাগ দিলেন শকে। তাঁর চোখে টেন্ডুলকার নয়, শেবাগের সঙ্গেই বেশি মিল এই ওপেনারের।

আইপিএলে এ পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ২০২ রান করেছেন শ। প্রথম থেকেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে ঝুঁকি নেন অনেক, তাই আউটও হয়ে যেতে হয়। ফলে গড়টা অপেক্ষাকৃত কম—২৫.২৫। তবে নজর কাড়ছে শ-র স্ট্রাইক রেট। আট ম্যাচ খেলার পরেও স্ট্রাইক রেট প্রায় দেড় শ-তে (১৪৯.৬২) ধরে রেখেছেন। আর এই ব্যাপারটাই মুগ্ধ করছে গ্রায়েম সোয়ানকে, ‘একটা কথা বলতে চাই পৃথ্বী শ-কে নিয়ে। ও যেভাবে ব্যাট করে, সেটা আমার অনেক ভালো লাগে। ও একটা বাচ্চা শেবাগ, অনেকটা বীরেন্দর শেবাগের ক্ষুদ্র সংস্করণ। শেবাগ আমার সর্বকালের অন্যতম পছন্দের ভারতীয় খেলোয়াড়।’

পৃথ্বী শ এই আইপিএলে জাত চেনাচ্ছেন নিজের।
ছবি : আইপিএল

শুধু শ-ই নন, গোটা দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজিই মুগ্ধ করছে সোয়ানকে। শ্রেয়াসের অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে রিকি পন্টিংয়ের কোচিং, সবকিছুই দিল্লিকে সুফল এনে দিচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক এই স্পিনার, ‘শ্রেয়াস আইয়ার নেতা হিসেবে অনেক ভালো। রিকি পন্টিংকে (দিল্লির কোচ) আমি একটা ম্যাচ শেষে হাসতে দেখেছি। ইংল্যান্ডের হয়ে যখন ওর বিপক্ষে খেলতাম, এ কাজটা ও কখনই করত না। তাই আমার মনে হয় ওদের দলের সবাই বেশ সুখী। আমার মনে হয়, দিল্লি অনেক শক্তিশালী একটা দল পেয়েছে, ওদের আত্মবিশ্বাসও আকাশচুম্বী। ওরা আস্তে আস্তে এমন একটা দল হয়ে উঠছে যাদের সবাই হারাতে চাইবে।’