বাবরকে ‘পথহারা গরু’ বলছেন শোয়েব

বাবরকে দেখে শোয়েবের মনে হচ্ছে, তিনি সংশয়ে ভুগছেন।ছবি: রয়টার্স

টেস্ট সিরিজে না হয় বাবর আজম অধিনায়ক ছিলেন না! সেখানে আজহার আলীর দল এক টেস্টে জয়ের মুখ থেকে গিয়েও হেরেছে, আরেকটি টেস্ট হয়েছে ড্র, অন্যটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে এসেও পাকিস্তানের ভাগ্যের যেন বদল নেই। প্রথম টি-টোয়েন্টিটা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কাল ১৯৫ রান করেও হেরে গেছে ৫ উইকেটে


এই হারের বিশ্লেষণও স্বাভাবিকভাবেই হচ্ছে। আর তাতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের মনে হচ্ছে, এই হারে দায়টা সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের। ম্যাচে তাঁকে দেখে ‘পথহারা গরু’র মতো দিশেহারাই লাগছিল শোয়েবের কাছে।

বাবর আজমকে দেখে পথহারা গরু মনে হয়েছে আমার কাছে। মাঠে ছিল ও, কিন্তু কী করতে হবে সে ব্যাপারে কোনো ধারণাই যেন ছিল না।
শোয়েব আখতার

ম্যানচেস্টারে কাল টস হেরে ব্যাট করতে হয় পাকিস্তানকে। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করে ১৯৫ রান। লড়াইয়ের জন্য যথেষ্টই বটে। কিন্তু এই ইংল্যান্ড যে অন্য ধাতুতে গড়া! ডেভিড মালানের ৩৬ বলে ৫৪ আর অধিনায়ক এউইন মরগানের ৩৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রানে ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় ইংল্যান্ড। ম্যানচেস্টারেই কাল বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, সিরিজে হারতে না চাইলে ম্যাচটা জিততেই হবে পাকিস্তানকে।


শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে কি না, তা না হয় পরে জানা যাবে। আপাতত কালকের ম্যাচের বিশ্লেষণে অধিনায়ক বাবরের দিকেই আঙুল তুলছেন শোয়েব। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাবরের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শোয়েব, ‘বাবর আজমকে দেখে পথহারা গরু মনে হয়েছে আমার কাছে। মাঠে ছিল ও, কিন্তু কী করতে হবে সে ব্যাপারে কোনো ধারণাই যেন ছিল না। ওর জন্য নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি, সেটা ওকে ভবিষ্যতে আরও ভালো অধিনায়ক হতে সাহায্য করবে।’

পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনায় নিয়মিত শোয়েব আখতার।
ছবি: এএফপি

বাবরকে একটা হুঁশিয়ারিও যেন দিয়েছেন শোয়েব, ‘বাবরের বোঝা উচিত যে সুযোগগুলো ও পাচ্ছে সেগুলো সারা জীবন পাবে না। তাই সুযোগগুলো ভালোভাবে কাজে লাগানো উচিত ওর।’


শুধু বাবরই নয়, পুরো পাকিস্তান দলকেই যেন দিশেহারা মনে হচ্ছে শোয়েবের কাছে। করোনাভাইরাসের কারণে দলগুলো এখন একটা জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থেকে ক্রিকেট খেলছে, সেটির সঙ্গে মিলিয়ে শোয়েবের শব্দের খেলা, ‘পাকিস্তান দল (মানসিকভাবে) একটা জৈব অসুরক্ষিত পরিবেশে খেলছে, এখানে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই যেন নিজেকে নিয়ে সংশয়ে আছে। কেউ অধিনায়ক থাকতে চায় কি না, কেউ পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালো একটা ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে কি না...এ ব্যাপারে কারওই যেন কোনো ধারণা নেই।’

খেলোয়াড়দের পাশাপাশি এখানে সবারই দায় দেখছেন শোয়েব, ‘দল নির্বাচনের সময়ে তারা সংশয়ে ভোগে, দলের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা সংশয়ে, অধিনায়ক নিজেকে নিয়ে সংশয়ে, পুরো দল সংশয়ে, সবকিছুকে ঘিরেই যেন সংশয়। এভাবে একটা দল গড়ে ওঠে না।’