বাসা ভাড়া নেই, পদ্মশ্রী জেতা ক্রিকেটারকে খুঁজতে হচ্ছে চাকরি

জাতীয় পুরস্কারের চেয়ে এখন চাকরি বেশি কাঙ্খিত বস্তু তাঁর কাছে। ফাইল ছবি
জাতীয় পুরস্কারের চেয়ে এখন চাকরি বেশি কাঙ্খিত বস্তু তাঁর কাছে। ফাইল ছবি

চোখের আলো নেই, মনের আলো জ্বালিয়ে প্রথম প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী পুরষ্কার পেয়েছেন শেখর নায়েক। তবে করোনাকালীন এই সময়ে অন্ধ এই ক্রিকেটারের পরিবারে ঠিকই নেমে এসেছে অন্ধকার। অন্ধ স্ত্রী এবং ১০ ও ৫ বছরের দুই মেয়েকে নিয়ে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন । তাই ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন ক্রীড়া কোটায় একটি চাকরির জন্য। 

২০১২ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন শেখর। ২২ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন সেরা বোলার। এর দুই বছর পর তাঁর নেতৃত্বেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে ভারত। দেশকে এমন সাফল্য এনে দেওয়া ক্রিকেটারকে ভারত সরকার মূল্যায়ন করেছিলেন ২০১৭ সালে তাঁর হাতে পদ্মশ্রী পুরষ্কার তুলে দিয়ে। পেয়েছিলেন অর্থ কড়িও। কিন্তু ভারতের জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত খেলোয়াড়ের পরিবারের এখন নেমে এসেছে দুর্দশা।


একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করছেন ৩৩ বছর বয়সী শেখর। দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই চলছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু করোনার ধাক্কায় আটকে গিয়েছে তাঁর বেতন। ফলে দুই মাস ধরে বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না। সঞ্চয় থেকে পরিবার চালাতে হচ্ছে তাঁকে, 'আমার বেতন ২৫ হাজার রুপি। এর মধ্যে বাসা ভাড়া ১২ হাজার। যেকোনো ভাবেই আমি চালিয়ে নিচ্ছিলাম। তবে এই লক ডাউনের সময়ে আমার বেতন আটকে গিয়েছে এবং দুই মাস বাসা ভাড়া দিতে পারিনি। আমার পরিবার কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সঞ্চয়ের বেশিরভাগ ব্যবহার করেছি।'


স্নাতকপাশ শেখরের স্ত্রীও অন্ধ। ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটা সরকারি চাকরির জন্য আট বছর ধরে ধরনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি, 'শেষ আট বছরে কর্ণাটকের বিভিন্ন মুখ্য মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা সরকারি চাকরির জন্য অনেকবার অনুরোধ করেছি। গত ডিসেম্বরে দিল্লিতে ক্রীড়া মন্ত্রী কিরেন রিজুর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁকে বলেছিলাম, 'পদ্মশ্রী পুরষ্কারের চেয়ে আমার একটি ভালো চাকরি বেশি প্রয়োজন। কারণ আমার স্ত্রীও অন্ধ।'