বাসার সামনে খুন ফিল্যান্ডারের ভাই

ভয়ংকর এক দুর্ঘটনায় ভাই হারালেন ভারনন।এএফপি ফাইল ছবি

বছরটা একের পর এক দুঃসংবাদ বয়ে আনছে ভারনন ফিল্যান্ডারের জন্য। বোর্ডের অপেশাদারি আচরণে ৩৫ বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অবসরে চলে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে অবসর পরবর্তী পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছে। কাউন্টিতে খেলার কথা থাকলেও পরে কল প্যাক চুক্তিটা বাতিল করেছে সমারসেট। গতকাল ভয়ংকর এক দুর্ঘটনা ঘটে গেল ফিল্যান্ডারদের জীবনে। তাঁর ছোট ভাইকে বাসার সামনে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা।

কেপটাউনের র‍্যাভেনসমিড শহরে বাস ফিল্যান্ডার পরিবারের। গতকাল বিকেলে বাসার সামনেই খুন করা হয়েছে টাইরন ফিল্যান্ডারকে। ৩২ বছর বয়সী টাইরনের মৃত্যুর খবর ভারননই নিশ্চিত করেছেন টুইটারে। এক বিবৃতিতে আপাতত তাঁদের শান্তিতে শোক পালন করতে দিতে বলেছেন ভারনন।

বিবৃতিতে ভারনন জানিয়েছেন, ‘আমাদের পরিবার এখনো কিছুক্ষণ (বুধবার) আগে র‍্যাভেনসমিডে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর সে হত্যার ঘটনা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে শ্রদ্ধা করার জন্য অনুরোধ করছি।’

ভারনন আরও জানিয়েছেন, ‘হত্যার ঘটনাটি এখন পুলিশের তদন্তের আওতাধীন। সংবাদমাধ্যমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন পুলিশকে তদন্ত করার পর্যাপ্ত সুযোগ দেন। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। আর এ নিয়ে অনুমান-নির্ভর গুঞ্জন সৃষ্টি হলে আমাদের জন্য শান্তিতে শোক পালন করা কঠিন হয়ে উঠবে। টাইরন সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবে, ওর আত্মা শান্তি পাক।’

স্থানীয় পত্রপত্রিকা দাবি করেছে, ঘটনার সময় টাইরন প্রতিবেশীদের কাছে পানি সরবরাহ করছিলেন। ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যরা ঘরের বাইরেই ধোঁয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আফ্রিকান নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ফিল্যান্ডারের মা ও পরিবারের সদস্য ঘটনার পর ছুটে এসে দেখেন রাস্তায় পড়ে আছেন টাইরন। র‍্যাভেনসমিড কমিউনিটি পুলিশ ফোরামের মুখপাত্র জেলডা টেনট্রাল জানিয়েছে, ‘ওঁরা সঠিক জানেন না কী হয়েছে। তাঁরা উঠানে ছিলেন, ধোঁয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন এবং হঠাৎ আওয়াজ শুনেছেন।’

হত্যাকারী কে কিংবা কেন এই হত্যাকাণ্ড, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রাথমিক তদন্তে খুঁজে পাওয়া যায়নি।