বাড়ি থেকে চা–নাশতা আনতে হবে ক্রিকেটারদের

সাসেক্স ক্রিকেট লিগে ড্রেসিং রুমে চা-নাশতা না দেওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছেছবি: লর্ডস ওয়েবসাইট

মাঠে খেলা হচ্ছে। চামড়ার বল পেটাচ্ছেন ব্যাটসম্যান। তার শব্দ যতটা চিরন্তন, ড্রেসিং রুমে চায়ের কাপ-পিরিচও তাই। ইংলিশ ক্রিকেটে ড্রেসিং রুমে চা থাকবে না, তা ভাবাই যায় না।

কিন্তু এখন ক্রিকেটারদের সম্ভবত বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসতে হবে। খাবার না নিয়ে এলে ইনিংস বিরতিতে ক্লাব তাদের খাবার দিতে বাধ্য থাকবে না।

অর্থাৎ এ নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় ওঠার সম্ভাবনাই বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা হলো, এত দিন ড্রেসিং রুমে চায়ের কাপে ওঠা ঝড় থেমে যেতে পারে।

ইংল্যান্ডের সাসেক্স ক্রিকেট লিগ এ সপ্তাহে খাবার সরবরাহের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। বেশির ভাগ ক্লাব ইনিংস বিরতিতে বাধ্যতামূলক খাবার সরবরাহের বিপক্ষে।

বেশ কিছু ক্লাব খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে খাবার দেওয়ার বিপক্ষে
ছবি: ব্রেন্ডন ক্রিকেট ক্লাব

স্যান্ডউইচ, সসেজ রোল ও কেকের পাশাপাশি আরও অন্যান্য খাবার এত দিন সরবরাহ করেছে ক্লাবগুলো। সাসেক্স ক্রিকেট লিগের চেয়ারম্যান গ্যারি স্ট্যানলি বিবিসি স্পোর্টকে জানান, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২০ সংক্ষিপ্ত মৌসুমে খাবারের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হয়েছে।

স্ট্যানলির ভাষ্য, ‘অনেক ক্লাব আছে, ছয়-সাতটি ক্লাব এই প্রস্তাব করেছে। আমাদের কাছে এসে তারা বলেছে “২০২১ সালে চা-নাশতা সরবরাহ করাটা বাধ্যবাধকতা বিলোপ করা হোক।” এটা শুধু ২০২১ সালের জন্য। পরের মৌসুমে আবার পাল্টানো যাবে। কিছু ক্লাবের ঘরের মাঠে চা-নাশতা দেওয়ায় আপত্তি আছে।’

সাসেক্স ক্রিকেট লিগ এমনিতেই নিজেদের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট লিগ হিসেবে দাবি করে থাকে। ১৪০টি ক্লাব ও ৩৩৫টি দল রয়েছে এ লিগে।

এই লিগেরই ক্লাব ফরেস্ট রো নিজেদের মতামত জানিয়েছে। তাদের মতে, এ সিদ্ধান্ত তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহ দেবে আর ‘স্যান্ডউইচ এবং একটু ক্রিকেট খেলা’র ধারায় পরিবর্তন আনবে। তবে সবাই এই দলে নেই।

হোরস্টেড কেইনেস ক্লাব যেমন এ সিদ্ধান্তে হতাশ, ‘ঘরের মাঠে আমরা খেলোয়াড়দের খাবার সরবরাহ করা অব্যাহত রাখব। যেকোনো প্রতিপক্ষকেও আমরা আনন্দের সঙ্গে খাবার দেব। এদিকে আমরা পাভলোভার নতুন রেসিপি নিয়ে কাজ করছি।’ রাশিয়ান ব্যালে ড্যান্সার আনা পাভলোভার নামে এ খাবারের নামকরণ করা হয়েছে।

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনেরও এমন সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি। তাঁর টুইট, ‘২০২০ সাল তো এর চেয়ে বেশি খারাপ হতে পারে না। শুনলাম দক্ষিণের এক ক্রিকেট লিগ খেলোয়াড়দের খাবার সরবরাহ করবে না। একেবারেই অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত।’

করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের দৃশ্যপট
ছবি: টুইটার