বিদেশে গোপন বিনিয়োগ ছিল টেন্ডুলকারের

বিদেশে গোপনে বিনিয়োগ করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকারফাইল ছবি

‘প্যান্ডোরা পেপারস’—হঠাৎই তোলপাড় ফেলেছে গোটা বিশ্বে। পানামা পেপারসের নাম সবাই জানে, যেটি ওলট-পালট করে দিয়েছিল অনেক কিছুই। ফাঁস করেছিল বিশ্বের নামীদামি ব্যক্তিদের আর্থিক কেলেঙ্কারি। ঠিক সে ধরনের তথ্য নিয়েই এবার হাজির প্যান্ডোরা পেপারস, যাতে বিশ্বনেতাদের গোপন আর্থিক লেনদেনের তথ্য রয়েছে। কেবল বিশ্বনেতারাই নন, অনেক সেলিব্রেটি ব্যক্তির নামও উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে ‘প্যান্ডোরা পেপারস’ নামের এই গোপন নথি প্রকাশ করেছে।

প্যান্ডোরা পেপারসের তদন্তে বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিদেশি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, ছদ্মবেশী ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন গোপন আর্থিক লেনদেনের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। বিশ্বনেতা ও তারকাদের কে কে বিদেশে নিজেদের নাম–পরিচয় গোপন করে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ, বাড়ি, ইয়াট ইত্যাদি কিনেছেন, তারও তথ্য আছে। এমনকি এতে বিখ্যাত শিল্পীদের (পিকাসো, বাঙ্কসি) চিত্রকর্মের গোপন মালিকদের তথ্যও আছে।

প্যান্ডোরা পেপারসে এই ছবি ব্যবহার করেছে আইসিআইজে

শচীন টেন্ডুলকার ছাড়াও এ গোপন নথিতে যেসব বিখ্যাত ব্যক্তির নাম আছে, তাঁদের মধ্যে আছেন পপ তারকা শাকিরা, সুপার মডেল ক্লদিয়া শিফার। এমনকি ইতালির কুখ্যাত মাফিয়া ডন রাফায়েল আমাতোও আছেন। এই রাফায়েল কমপক্ষে এক ডজন খুনের সঙ্গে জড়িত।

এদিকে টেন্ডুলকারের নাম এতে আসায় বিস্মিত তাঁর আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, শচীন টেন্ডুলকারের বিদেশে বিনিয়োগ আছে। কিন্তু কোনো বিনিয়োগই গোপন নয়, ‘টেন্ডুলকারের বিদেশে বিনিয়োগ আছে। তবে সব বিনিয়োগই বৈধ ও আইনসিদ্ধ।যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই সেই বিনিয়োগ করা হয়েছে।’

টেন্ডুলকারের স্ত্রী অঞ্জলিরও নাম আছে প্যান্ডোরা পেপারসে
ফাইল ছবি

টেন্ডুলকার ২০১৩ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর একসময় ভারতের রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। রাজ্যসভা হচ্ছে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ। প্যান্ডোরা পেপারসে কেবল তাঁর নামই নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামও এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, টেন্ডুলকারের পরিবার ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছিল। ২০১৬ সালে সেই বিনিয়োগের টাকা তুলে নেওয়া হয়।

স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকার ও শ্বশুর আনন্দ মেহতার নামও আছে এতে। প্যান্ডোরা পেপারসের তথ্যানুযায়ী ২০১৬ সালে সেই প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নগদীকরণের সময় শচীন টেন্ডুলকারের শেয়ার ছিল ৯, অঞ্জলির ১৪ ও আনন্দ মেহতার ৫টি। টেন্ডুলকারের শেয়ারের মূল্য ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৭০২, অঞ্জলির ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৪ ও শ্বশুরের শেয়ারের মূল্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮২ মার্কিন ডলার।