বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেসারদের পরিকল্পনা জানালেন ওয়ালশ

কোচিং স্টাফদের সঙ্গে ওয়ালশ। ছবি: প্রথম আলো
কোচিং স্টাফদের সঙ্গে ওয়ালশ। ছবি: প্রথম আলো
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলিংয়ের ভার নিতে হবে পেসারদের। মাশরাফি, মোস্তাফিজদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন কোর্টনি ওয়ালশ


মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট, জহির খান, গ্লেন ম্যাকগ্রা, চামিন্দা ভাস, জিওফ অ্যালট—এই ছয়জনের মধ্যে মিল কোথায়? গত পাঁচ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। উপমহাদেশের ২০১১ বিশ্বকাপেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন জহির খান। স্পিনারদের ছাড়িয়ে জহির খান হয়ে উঠেছিলেন ভারতের মূল ভরসা। প্রতি ক্রিকেট বিশ্বকাপেই দলগুলোর সাফল্য নির্ভর করে পেসারদের ওপর। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভালো করতে তাই পেসারদের দিকেই তাকিয়ে আছেন কোর্টনি ওয়ালশ।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস বিভাগের অংশ হচ্ছেন পাঁচজন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে রয়েছেন রুবেল, মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দীন ও আবু জায়েদ। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভালো করার জন্য বৈচিত্র্যে নজর দিয়েছেন ওয়ালশ, ‘ইংল্যান্ডের পিচ এখন ব্যাটিং সহায়ক। সে জায়গায় ভালো করতে হলে বোলিং বৈচিত্র্যের বিকল্প নেই। ব্যাটিং সহায়ক পিচে প্রচুর রান হবে। সে জন্য সব রকম বোলিং বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের দলে সব ধরনের বৈচিত্র্যময় বোলার আছে, যেটি ইংল্যান্ডে আমাদের বেশ সহায়তা করবে।’

ক্যারিবীয় কিংবদন্তি জানেন তাঁর সময়কার ক্রিকেটের সঙ্গে এই সময়ের ক্রিকেটের পার্থক্য আকাশ-পাতাল, ‘আমাদের সময়ে পিচগুলো বোলিং সহায়ক ছিল। কিন্তু এখন পিচগুলো ব্যাটিং সহায়ক হয়ে গিয়েছে। এখন ভালো করতে হলে যেমন রান আটকে রাখতে হবে, তেমনি বলের পেস নিয়ে কাজ করতে হবে। এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে ব্যাটসম্যান নিজের ওপর চাপ নিয়ে উইকেট খুইয়ে ফেলে। ওয়াইড ইয়র্কার, স্লোয়ার বাউন্সার, স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বোলিং—যা করে ব্যাটসম্যানকে আটকে রাখা যায় তাই করতে হবে। আয়ারল্যান্ডে বলের বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করাই হবে মূল ফোকাস।’

এ কারণেই কন্ডিশনকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিচ্ছেন ওয়ালশ। বোলারদের বুদ্ধিমান হতে বলছেন ওয়ালশ, ‘কন্ডিশন ও উইকেট ভালোভাবে বুঝতে হবে। কখন সুইং হবে কিংবা হবে না, তা যদি ধরতে পারি তবেই ভালো করা সম্ভব হবে। সবাই তাদের শক্তিমত্তার ব্যাপারে জানে। নিজেদের শক্তিমত্তা কাজে না লাগাতে পারলে ভালো করা বেশ কঠিন হবে। দ্রুত ব্রেক থ্রু পাওয়া কিংবা দ্রুত কয়েকটি উইকেট নিতে পারলেই ম্যাচে ভালো করা সম্ভব।’