বিশ্বকাপের আগে নামিবিয়ান পেসারের বিধ্বংসী বোলিং
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারই প্রথম খেলার সুযোগ পেয়েছে নামিবিয়া। এর প্রস্তুতি হিসেবে এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করছে আফ্রিকার দলটি।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমিতে আজ একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই প্রস্তুতি ভালোই সারলেন নামিবিয়ার বাঁহাতি পেস অলরাউন্ডার ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এবং দেশটির অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা ফ্রাইলিঙ্ক আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর ছেলেদের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন।
আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান তুলেছিল নামিবিয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাত তাড়া করতে নেমে ফ্রাইলিঙ্কের পেসের সামনে দাঁড়াতে পারেনি।
২৪ রানে ৬ উইকেট নেন ফ্রাইলিঙ্ক, ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে এটাই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। শুধু তা–ই নয়, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি চতুর্থ সেরা বোলিংয়ের নজির।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ভারতের পেসার দীপক চাহারের। ২০১৯ সালে নাগপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৩.২ ওভারে ৭ রানে ৬ উইকেট নেন চাহার। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড শ্রীলঙ্কার সাবেক ‘রহস্য’–স্পিনার অজন্তা মেন্ডিসের।
২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে মেন্ডিসের গড়া রেকর্ডটাই দুই বছর আগে ভাঙেন চাহার। এর আগে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছিলেন মেন্ডিস। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬ রানে নেন ৬ উইকেট, নিজের সেই রেকর্ড পরের বছরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভাঙেন মেন্ডিস।
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডটি এ তালিকায় চতুর্থ হলেও বোলারসংখ্যা বিচারে তিনি তৃতীয়, দীপক চাহার ও অজন্তা মেন্ডিসের পরই ফ্রাইলিঙ্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বেশ কয়েকটি যুব ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।
ওয়ানডেতেও স্মরণীয় এক কীর্তি রয়েছে ২৭ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারের। ২০১৯ সালে উইন্ডহকে ওমানের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই ১৩ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ওয়ানডে অভিষেকে সেটি এখনো তৃতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড কাগিসো রাবাদার এবং এখানেও প্রতিপক্ষ সেই বাংলাদেশ! ২০১৫ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকে ১৬ রানে ৬ উইকেট নেন প্রোটিয়া পেসার। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে ২২ রানে ৬ উইকেট নেন ফিদেল এডয়ার্ডস।