‘বিসিবির স্বাস্থ্যবিধি ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ দল।ছবি: বিসিবি

দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। তাঁর আগে বাংলাদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যবিধি কেমন হবে, সেটি জানতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছে দেশটির প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধিতে কোনো খুঁত খুঁজে পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।

করোনাকালে সবার আগে দেশের বাইরে সফরে যায় ক্যারিবীয়রা। গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফর করে জেসন হোল্ডারের দল। সবার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও মাঠে নামায় ক্যারিবীয়রা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) বেশ সফলভাবেই আয়োজন করে তারা। এরপর বছরের শেষে নিউজিল্যান্ড সফর করে ক্যারিবীয়রা। জৈব সুরক্ষাবলয়ে থেকে কীভাবে খেলতে হয়, এত দিনে ক্যারিবীয়দের সে অভিজ্ঞতা হয়ে যাওয়ার কথা। এবার লম্বা সময়ের জন্য বাংলাদেশে আসছে ক্যারিবীয়রা।

এর আগে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যবিধি দেখেছে দেশটির প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের পরিকল্পনাও নাকি ঠিক ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মতোই। ক্যারিবীয় সংবাদমাধ্যমে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব ওয়েইন লুইস বলেছেন, ‘আমাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশেও ঠিক ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মতো নিয়ম করা হয়েছে। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বসেছি। ওরা আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটা দেখিয়েছে।’

বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করার আগে দুই সদস্যের পর্যবেক্ষক দল পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। সিরিজের দুই ভেন্যু মিরপুর ও চট্টগ্রামের মাঠ, হোটেল, হাসপাতাল ও অনুশীলনের ভেন্যু পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন পর্যবেক্ষক দলের দুই প্রতিনিধি ড. আকশাই মানসিং ও পল স্লোওয়ে। এই দুই প্রতিনিধির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সফর নিশ্চিত করে ক্যারিবীয়রা।

বাংলাদেশে সংবাদ সম্মেলনে মানসিং বলেছিলেন, ‘বিসিবি আমাদের যে বর্ণনা দিয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত গভীর চিন্তার পরিচয় দেয়। যেহেতু আমাদের আসার আগে তাদের তিনটি টুর্নামেন্ট হয়েছে এবং একটি হচ্ছে, সুতরাং তাঁরা অভ্যস্ত। ঢাকা ও চট্টগ্রামে আমরা যা দেখেছি, তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখানে সুযোগ-সুবিধা দারুণ, কোভিড প্রোটোকল অত্যন্ত স্পষ্ট ও নিখুঁত।’

প্রস্তুত হচ্ছেন মুমিনুল হকরা।
ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশে সবকিছু আন্তর্জাতিক মানের বলেই তখন জানিয়েছিলেন মানসিং, ‘যে হাসপাতাল ও হোটেলগুলোয় আমরা গিয়েছি, সেগুলোর পরিবেশ ও কোভিড-১৯–এর জন্য সুপারিশ করা বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে আমরা খুবই খুশি। এখন আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিচালকদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে আমরা যা দেখেছি, তা বিশ্বের যেকোনো জায়গার আয়োজনের চেয়ে কম নয়। এখন পর্যন্ত আমরা খুবই খুশি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড খুশি হলেও দলের নিয়মিত ১০ ক্রিকেটার সন্তুষ্ট ছিলেন না। করোনার ভয়ে বাংলাদেশ সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নেন দলের অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ফলে বাধ্য হয়ে গড়পড়তা দল নিয়ে বাংলাদেশে আসতে হচ্ছে ক্যারিবীয়দের।