বুমরা এ সময়ের সবচেয়ে ‘স্মার্ট’ বোলার

বুমরাকে বেশ পছন্দ শোয়েবের।ফাইল ছবি: এএফপি

ভারতীয় ক্রিকেট দলের গুণগান গাইতে বরাবরই অকৃপণ শোয়েব আখতার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভালো করলেই প্রশংসায় মুখর হয়ে ওঠেন পাকিস্তানের সাবেক এ পেসার। মেলবোর্ন টেস্টে ভারতের দাপুটে জয়ের পর যেমন বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়াকে ভারত এমনভাবে হারিয়েছে যেন বস্তায় ভরে পিটিয়েছে!

এবার ভারতীয় বোলারেরও প্রশংসা করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড গড়া শোয়েব। যশপ্রীত বুমরাকে বর্তমান সময়ের ‘স্মার্ট’ (বুদ্ধিমান ও চটপটে) বোলার হিসেবে মনে করেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সী সাবেক এই পেসার বুদ্ধিমত্তায় এই সময়ে মোহাম্মদ আমির ও বুমরাকে এগিয়ে রাখছেন অন্যদের তুলনায়।

ভারতের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভুমরা।
ফাইল ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চলতি টেস্ট সিরিজে এ পর্যন্ত দুই টেস্ট ভারতীয় বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন বুমরা। ইশান্ত শর্মা নেই, এর পাশাপাশি মোহাম্মদ শামিও চোটে পড়ায় বুমরার ওপর ভালো করার চাপ ছিল। ৮ উইকেট নিয়ে সময়ের দাবি ভালোই মিটিয়েছেন ভারতীয় এ পেসার। শুধু রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও প্যাট কামিন্স-ই তাঁর চেয়ে ২টি করে উইকেট বেশি নিতে পেরেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে বুমরার বিষয়ে শোয়েব বলেন, ‘সম্ভবত এই সময়ের সবচেয়ে স্মার্ট বোলার বুমরা। মোহাম্মদ আমির, এমনকি ওয়াসিম আকরামের চেয়ে ভালো যাকে আমি দেখেছি, সে মোহাম্মদ আসিফ। আসিফের মুখোমুখি হওয়ার সময় ব্যাটসম্যানদের আমি কাঁদতে দেখেছি। লক্ষ্মণ একবার বলেছিল, “আমি ওকে মোকাবিলা করব কীভাবে”। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এবি ডি ভিলিয়ার্স তো রীতিমতো কান্না শুরু করেছিল।’ যদিও দক্ষিণ আফ্রিকান ডি ভিলিয়ার্স কীভাবে, কখন এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছেন কিংবা অভিষেকের তিন বছর আগে হওয়া সেই টুর্নামেন্টে আসিফ কীভাবেই-বা বল করেছেন, সেটার ব্যাখ্যা শোয়েব দেননি।

অনন্য বোলিং স্টাইল বুমরার বড় শক্তি।
ফাইল ছবি: এএফপি

এরপর বুমরাকে নিয়ে শোয়েব সোজাসাপ্টাই বলেছেন, ‘তবে আসিফের পর আমি এই সময়ে বুমরাকে সবচেয়ে স্মার্ট বোলার হিসেবে মনে করি। লোকে তার টেস্ট খেলার ফিটনেস নিয়ে সন্দেহে ভুগেছে। এমনকি তার ওপর আমিও চোখ রেখেছি। তার বাউন্সার গতিময় ও তীক্ষ্ম, সঙ্গে আলাদা চরিত্রও আছে।’

১৬ টেস্টে ৭৬ উইকেট নেওয়া বুমরাকে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ‘ডেথ ওভার’গুলোয় সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে দেখা হয়। ক্রিকেট নিয়ে ২৭ বছর বয়সী এ পেসারের চিন্তাভাবনারও প্রশংসা করেন শোয়েব। পেসার হয়েও শরীরী অঙ্গভঙ্গি নয়, নিজের লেংথ দিয়ে বুমরা আগ্রাসন দেখিয়ে থাকেন বলে মনে করেন তিনি, ‘বুমরার আগ্রাসন বোঝা যায় লেংথে, শরীরী ভাষায় নয়। আমার কাছে এটাই বুমরার সংজ্ঞা। লেংথ দিয়ে হারায় ব্যাটসম্যানদের। শরীরী ভাষায় হয়তো আগ্রাসনটা বোঝা যায়, সে আমার দেখা অন্যতম ভদ্রমানুষ। কিন্তু বোলিংয়ে এসে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে লেংথ দিয়ে আগ্রাসন দেখাতে পারে।’