বুমরাকে তবু আফ্রিদির পেছনে রাখলেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার

কোহলির মতো ব্যাটসম্যানকেও নিয়মিত বিপদে ফেলেন বুমরা।ছবি: আইপিএল

বাবর আজমের ব্যাটিং দেখে বিরাট কোহলিকে শিখতে বলেছিলেন আকিব জাভেদ। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক তারকা পেসারের এমন প্রস্তাব এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো বটেই, ক্রিকেট দুনিয়াতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

বাবর আজম দুর্দান্ত এক ব্যাটসম্যান। এ মুহূর্তে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের একটা ছোট তালিকা করলে কোহলি, জো রুট কিংবা কেইন উইলিয়ামসনদের সঙ্গে অনায়াসেই নেওয়া হয় পাকিস্তানি তারকার নাম।

কিন্তু তাই বলে আকিবের মুখ থেকে এমন কথা? বাবরের কাছ থেকে ব্যাটিং শিখবেন কোহলি? মাঠে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নেই, পাকিস্তানি সাবেক আর বর্তমান ক্রিকেটাররা যেন কথা দিয়েই লড়তে চাচ্ছেন ভারতের সঙ্গে। আর সেই লড়াইয়ে বেরিয়ে আসছে এমন বিতর্কিত ব্যাপার-স্যাপার।

শাহীন শাহ আফ্রিদি।
ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েই মাত করে দিয়েছেন আকিব। নব্বইয়ের দশকে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসদের ছায়ায় সব সময়ই ‘তৃতীয় পেসার’ হয়ে থাকা এই গতি তারকা তাঁর সময় নিজ নামেই জনপ্রিয় ছিলেন।

দুর্ভাগ্য বলাই যায় আকরাম, ওয়াকারদের ছায়ায় নিজেকে ঠিকমতো মেলে ধরতে পারেননি তিনি। আকিব নিজে অবশ্য বলেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন বলেই তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে।

‘সাবেক’ তকমা শরীরে লাগার পর আকিব আগের মতোই উচ্চকণ্ঠ। নানা বিষয়ে। বিশেষ করে পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে। তবে অন্য আর সব পাকিস্তানি সাবেকের মতো আকিবও ভারত বা ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে বিতর্কিত কিছু বলতে পারলে যে বর্তে যান।

পাকিস্তানি ক্রিকেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকার তেমন কিছু বলেই আবার আলোচনায় আকিব। কোহলিকে বাবরের কাছ থেকে ব্যাটিং শেখার পরামর্শ দিয়ে এবার তুলনা করেছেন যশপ্রীত বুমরা আর শাহীন শাহ আফ্রিদির মধ্যে। তবে সেই তুলনার মধ্যে বুমরার প্রশংসাই ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে।

কদিন আগেই ২০ পেরোনো আফ্রিদি পাকিস্তানের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরেই।
ছবি: এএফপি

তিনি কোনোভাবেই আফ্রিদির চেয়ে ভারতীয় পেসারকে এগিয়ে রাখতে চাননি, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁর কাছে আফ্রিদি এগিয়ে, ‘বুমরা খুবই ভালো বোলার। যেকোনোভাবেই সে ভালো। এটা ঠিক যে সে ডেথ বোলিংয়ের বিচারে আফ্রিদির চেয়ে ভালো। তবে নতুন বল বিবেচনায় আফ্রিদি বুমরার চেয়ে এগিয়ে।’

বুমরার তিন বছর পর শাহীন আফ্রিদির অভিষেক। বুমরা গত তিন বছরে ২৫০ আন্তর্জাতিক উইকেট পেয়েছেন। ভারতে কিংবা ভারতের বাইরে যেকোনো উইকেটেই তিনি কার্যকর ও ম্যাচজয়ী বোলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। অন্যদিকে, শাহীন আফ্রিদিও নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

২০১৯ সালে অভিষিক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১২৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আকিবের শঙ্কা পাকিস্তান তাঁকে ঠিকমতো, পরিকল্পনা করে ব্যবহার করতে পারছে না, ‘এটা রীতিমতো অবিচার। শাহীন আফ্রিদিকে পাকিস্তানের হয়ে প্রায় সব ম্যাচ খেলতে হয়। পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত খুব সতর্কতার সঙ্গে তাঁকে নিয়ে পরিকল্পনা করা। সিরিজ হেরে যাওয়া বা জিতে যাওয়ার পর যে ম্যাচগুলো হয়, তাতে শাহীনকে না খেলানোই উচিত।’