বোর্ডকে হুমকি দিয়ে রাখলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়া মন্ত্রী

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট এখন সমস্যার জালে আটকা পড়েছেফাইল ছবি

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) আঁধার গভীর হচ্ছে ক্রমেই। ক্রিকেটে বাইরের নানা বিতর্কে একেবারে এলোমেলো দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী নাথি মথেথোয়া আইসিসিকে জানিয়ে রেখেছেন, তিনি ক্রিকেট বোর্ডে হস্তক্ষেপ করবেন। এতে সিএসএ নিয়ে জটিলতা আরও বেড়েছে।

দেশটির সরকার সিএসএর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে গত মাসে। এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটকে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ অবৈধ। সরকারের এমন আচরণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করতে পারে আইসিসি। এটি জেনেও মথেথোয়া জানিয়ে রেখেছেন, তিনি হস্তক্ষেপ করবেন।

কড়া ভাষায় লেখা এক বিবৃতিতে ক্রীড়া মন্ত্রী সিএসএ-কে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে সময় বেঁধে দিয়ে বলেছেন, ‘আমাকে জানাতে হবে কেন আমার হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’ মথেথোয়া এরই মধ্যে আইসিসিকেও জানিয়েছেন, তিনি সামনে কী করতে পারেন। আর এতেই ঘোর সংশয়ে পড়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বরের ইংল্যান্ড দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর।

গত সোমবার সিএসএর কর্মকর্তারা মিটিং করেছেন মথেথোয়ার সঙ্গে। ইংল্যান্ডের সিরিজটা সঠিক সময়ে আয়োজন করতে ক্রীড়া মন্ত্রীর সহায়তা খুব দরকার। করোনা মহামারিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া একটি সিরিজ আয়োজন যেকোনো ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষেই কঠিন। কিন্তু আজ মথেথোয়ার বিবৃতিতে বোঝা গেল, সিএসএর কর্মকর্তারা যতই মিটিং করুন, সব বৃথা হবে যদি তাঁরা ২৭ অক্টোবরের মধ্যে সমস্যার সমাধান না করতে পারেন।

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক দিন ধরেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। বোর্ডে নানা ধরনের অসৎ আচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ। ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষ, পৃষ্ঠপোষক আর খেলোয়াড়েরা আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে বলেও মনে করে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর্টস ফেডারেশন ও অলিম্পিক কমিটি (এসএএসসিওসি)।

দেশটির খেলোয়াড়দের সংগঠন, নিবন্ধিত সাংবাদিকদের নাম বাতিলসহ নানা অভিযোগ সিএসএর বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডে পৃষ্ঠপোষকেরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তাদের প্রতি। সব মিলিয়ে সমস্যা গভীর হচ্ছে সিএসএর।