ভাতিজা চাকরি পেতেই ইমরানের কাছে ক্ষমা চাইলেন মিয়াঁদাদ

জাভেদ মিঁয়াদাদ ও ইমরান খান। যখন দুজন একসঙ্গে খেলতেন।
ছবি: টুইটার

জাভেদ মিঁয়াদাদের ঘুরিয়ে কথা বলার অভ্যাস নেই। সোজা কথাটা সোজা করেই বলেন। কিছুদিন আগে ইমরান খানকে ধুয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি এ ব্যাটসম্যান। এবার সেই ধুয়ে দেওয়ার জন্যই ক্ষমা চাইলেন তিনি।

দুজনেই পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ অবদান রয়েছে দুজনেরই। জাতীয় দলে তাঁরা অনেক দিন সতীর্থ হিসেবে খেললেও কিছুদিন আগে ইমরানের বিপক্ষে ভয়ংকর অভিযোগ তুলেছিলেন মিঁয়াদাদ, ‘ইমরান পাকিস্তানের ক্রিকেট ধ্বংস করেছে।’ এরপর কিছুদিন না যেতেই ভোল পাল্টালেন মিঁয়াদাদ। কারণটা তাঁর ভাতিজা ফয়সাল ইকবাল। পাকিস্তানের সাবেক এ ব্যাটসম্যানকে ঘরোয়ায় একটি দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এরপরই নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে এআরওয়াই নিউজকে মিঁয়াদাদ বলেছেন, ‘যদি কাউকে আঘাত করে থাকি, তাহলে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কারণ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে ভীষণ রাগ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানের সমর্থকদের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’ তবে মিঁয়াদাদের এমন মন্তব্যের সঙ্গে তাঁর আগের ক্ষোভের পার্থক্য কিন্তু আকাশ-পাতাল।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মিঁয়াদাদ বলেছিলেন, ইমরান পাকিস্তানের ক্রিকেট ধ্বংস করছেন এবং রাজনীতিতে তিনি তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। ইমরানের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি আমার অধিনায়ক ছিলে না, আমি তোমার অধিনায়ক ছিলাম। রাজনীতিতে আসার পর তোমার সঙ্গে কথা হবে। সব জায়গায় আমি তোমার নেতৃত্ব দিয়েছি কিন্তু এখন তোমার আচরণ ঈশ্বরসুলভ। দেখে মনে হয় এই দেশে তুমি-ই একমাত্র বুদ্ধিমান। আর কেউ অক্সফোর্ড কিংবা কেমব্রিজে যায়নি। লোকের কথা ভাবো। তুমি আমার ঘরে এসে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বেরিয়েছ। চ্যালেঞ্জ করছি পারলে কথাটা অস্বীকার করো।’

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) কিছু পরিবর্তন আনেন ইমরান। এতে তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন মিঁয়াদাদ। কিন্তু তাঁর ভাতিজা ফয়সাল ইকবাল বেলুচিস্তান দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সুরটা নরম হলো মিঁয়াদাদের। যদিও পাকিস্তানের হয়ে ২৬ টেস্ট ও ১৮ ওয়ানডে খেলা ফয়সাল ইকবালের কোচ পদে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দানিশ কানেরিয়া। ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়া এ লেগ স্পিনারের প্রশ্ন, ‘কীসের ভিত্তিতে তাকে (ফয়সাল) নিয়োগ দেওয়া হলো, সে এটার যোগ্য নয়। দেশের জন্য টেস্ট খেলা আরও অনেক খেলোয়াড় আছে। সে কখনো নিজের মেধার প্রতি সুবিচার করে খেলেনি।’

পরে টুইটটি মুছে ফেলেন কানেরিয়া। তবে মিঁয়াদাদ এখন কানেরিয়াকে কী বলেন সেটাই দেখার বিষয়।