ভারত ব্যস্ত, পাকিস্তানও চায় না

২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি মুহূর্ত।ছবি: এএফপি

এই বছরে কি এশিয়া কাপ আদৌ হবে?

গতকালই ভারতের বিখ্যাত ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে সংশয় জানিয়েছেন এ নিয়ে। তিনি কারণ হিসেবে দেখিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের ব্যস্ততাকে। গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে এশিয়া কাপ পিছিয়ে গিয়েছিল। এ বছরের জুনে শ্রীলঙ্কায় হতে পারে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি—শোনা গিয়েছিল এমন গুঞ্জন। কিন্তু ভারতের ব্যস্ততার পর এখন পাকিস্তানেরও এ বছরের এশিয়া কাপ নিয়ে অনিচ্ছার কথা শোনা যাচ্ছে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় দৈনিক নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন, পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি নাকি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকদের জানিয়েছেন, এ বছরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি না হলেই খুশি হবে পিসিবি। এশিয়া কাপ পিছিয়ে ২০২৩ সালে হতে পারে বলেও আভাস পাওয়া গেছে এহসান মানির কথায়।

করোনার কারণে কদিন আগে স্থগিত হয়ে যাওয়া পিএসএলের বাকি অংশ আগামী জুনে হবে, এই ঘোষণা আসার পর গতকাল পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভায় কথা হয় এহসান মানির। সেখানেই মানি পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের এ কথা জানিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছেন—এমনটাই লিখেছে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এহসান মানি।
ছবি: এএফপি

ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরাই এহসান মানির কাছে জানতে চেয়েছিলেন, জুনে পিএসএলের বাকি অংশ হলে সেটি সূচিতে এশিয়া কাপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কি না! জবাবে এহসান মানি কী বলেছেন, তা পিসিবি সূত্রকে উদ্ধৃত করে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ‘মানি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ওই টুর্নামেন্ট (এশিয়া কাপ) এ বছরে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অন্য ব্যস্ততা থাকায় টুর্নামেন্টটা সরিয়ে ২০২৩ সালে নেওয়া হবে।’

এশিয়া কাপের দ্বিতীয় দফায় পিছিয়ে যাওয়াটা এখনো অবশ্য একেবারে নিশ্চিত নয়। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের জানিয়েছেন এহসান মানি।

সভায় পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা আরেকটি ব্যাপারে চাপ দিতে চেয়েছিলেন এহসান মানিকে। সেটি পিএসএলের বাকি অংশের আয়োজনের তারিখ আর সে সময় পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সূচিতে বদল নিয়ে। ৩৪ ম্যাচের ১৪টি হওয়ার পর করোনার সংক্রমণের কারণে এই মাসের শুরুতে এবারের পিএসএলের বাকি অংশ স্থগিত হয়ে গেছে। সেটি আগামী জুনে হওয়ার ঘোষণা এলেও পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা এপ্রিলে তা আয়োজনের দাবি তুলেছিলেন।

বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপ ছাড়া এখন ভারত-পাকিস্তানের দেখা হয় না মাঠে।
ছবি: এএফপি

কিন্তু সে সময়ে তো পাকিস্তান দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে! সেটির কী হবে? পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা দাবি তুলেছিলেন, সিরিজটার সূচিতে অদলবদল আনতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএসএকে যাতে পিসিবি চাপ দেয়। কিন্তু এহসান মানি তা মানেননি।

‘পিসিবি চেয়ারম্যান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এটা তাঁরা করতে পারবেন না। কারণ, সিএসএর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কটা খুব ভালো। যে কারণে ফেব্রুয়ারিতে ওরা (সিএসএ) পাকিস্তানে পূর্ণ দল পাঠিয়েছে’—পিসিবি সূত্রকে উদ্ধৃত করে লিখেছে নিউ ইন্ডিয়ান টাইমস।