শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৬ রান। এ তেমন কঠিন কিছু নয়। কিন্তু ঝামেলাটা হলো, ভারতের উইকেট বাকি ছিল মাত্র একটি। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান—পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। প্রথম বলটা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে ১ রান নিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। কিন্তু পরের বলেই তুলে মারতে গিয়ে যুজবেন্দ্র চাহাল ক্যাচ তুলে দিলেন ডেভিড মিলারের হাতে। ৪ রানে হেরে গেল ভারত। সিরিজ তো আগেই হেরে গিয়েছিল লোকেশ রাহুলের দল। আজ এই হারে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩ ওয়ানডের সিরিজে ভারতীয়রা হলো ধবলধোলাইও।
এই জয়ে একটা বিশ্ব রেকর্ডও ছুঁয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কমপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে এ নিয়ে ২০তম বারের মতো প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করেছে প্রোটিয়ারা। এর আগে এই রেকর্ডের একক মালিকানা ছিল পাকিস্তানের।
২৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৩তম ওভারে ২২৩ রানেই সপ্তম উইকেট হারায় ভারত। অর্ধশতক পেলেও সেগুলোকে শতক বানাতে পারেননি দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান (৭৩ বলে ৬১) ও বিরাট কোহলি (৮৪ বলে ৬৫)। এরপর যশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে ৩১ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন দীপক চাহার (৩৪ বলে ৫৪ রান)। তবে লুঙ্গি এনগিডি চাহারকে ফেরাতেই শেষ হয় ভারতের প্রতিরোধ। দ্রুত আরও ২ উইকেট হারিয়ে ভারত অলআউট হয়ে যায় ২৮৩ রানে। তবে হারলেও সিরিজের শেষ ম্যাচেই বরং দারুণ লড়াই করেছে লোকেশ রাহুলের দল।
এর আগে কুইন্টন ডি ককের ১৭তম ওয়ানডে শতকে ভর করে ২৮৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩০ বলে দুই ছক্কা ও ১২ চারে ১২৪ রানে করেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। সঙ্গে রসি ভ্যান ডার ডুসেনের অর্ধশতক (৫৯ বলে ৫২) ও ডেভিড মিলারের ৩৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে তিন শর কাছাকাছি যায় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর। ৯.৫ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ভারতের পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ২টি করে উইকেট দীপক চাহার ও যশপ্রীত বুমরার।