ভারত–পাকিস্তান সিরিজ দেখত অ্যাশেজের চেয়েও বেশি দর্শক

২০১৯ বিশ্বকাপে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান।
ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটের সবচেয়ে আদি দ্বৈরথ অ্যাশেজ। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই টেস্ট সিরিজের অপেক্ষায় থাকেন সবাই। সিরিজ চলাকালে পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের চোখ আটকে থাকে এখানে। কিন্তু জনপ্রিয়তার বিচারে ভারত-পাকিস্তান সিরিজের থেকে অ্যাশেজ পিছিয়ে থাকবে বলেই ধারণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের। দুই দেশের মধ্যে আবারও সিরিজ শুরু হওয়া উচিত বলে মনে করেন ইনজামাম।

প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে বৈরী রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেটে। তাই এখন আর দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হয় না। সর্বশেষ সিরিজটি আয়োজিত হয়েছিল ২০১২ সালে। ভারতে হওয়া সেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর বেশ কয়েকবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সম্ভাবনা তৈরি হলেও আলোর মুখ দেখেনি।

ইনজামাম-উল হক।
এএফপি ফাইল ছবি

এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) টুর্নামেন্টই ভরসা। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে এখন এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপের দিকেই চেয়ে থাকতে হয় সবাইকে। সর্বশেষ দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। এশিয়া কাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আপাতত আর দুই দলকে মাঠে দেখার সম্ভাবনা নেই। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দল দুই গ্রুপে পড়েছে।

ভারতের বিপক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক খেলেননি বর্তমান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম!
ফাইল ছবি

ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে অনেক ম্যাচেই নায়ক হয়েছেন ইনজামাম। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ হয়ে থাকাটা মানতে পারছেন না পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। স্পোর্টসস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘অ্যাশেজের থেকেও ভারত-পাকিস্তান সিরিজ বেশি মানুষ দেখত এবং প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করত। ক্রিকেট খেলা এবং এর খেলোয়াড়দের উন্নতির জন্য, এশিয়া কাপ ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’

শুধু বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেই দেখা হয় ভারত-পাকিস্তানের।
ফাইল ছবি

শুধু দর্শক জনপ্রিয়তার বিচারে নয়, এ ধরনের ম্যাচ ক্রিকেটারদের খেলায়ও উন্নতি আনে বলে মনে করেন ইনজামাম, ‘প্রতিটি প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সময় এশিয়া কাপ এমন টুর্নামেন্ট ছিল যে সেখানে শীর্ষ দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। উঁচুমানের ক্রিকেট যত বেশি খেলা হবে, আপনার দক্ষতা তত বাড়বে। ভারত যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে, ক্রিকেটাররা নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার জন্য উদ্দীপ্ত থাকে। কারণ তারা জানে, এই ম্যাচগুলোর গুরুত্ব ও তীব্রতা। যা কেবল একজন খেলোয়াড়কে উন্নতি করতে নয়, ভক্তদের ভালোবাসা পেতেও সাহায্য করে। আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টগুলো হওয়া জরুরি।’